জেলের বন্দীদশাতেই বিচ্ছেদ হয়ে গেল ইন্দ্রাণী মুখার্জি-পিটার মুখার্জির; ১৭ বছরের সম্পর্কে ইতি
বিচ্ছেদ হয়ে গেল পিটার মুখার্জি-ইন্দ্রাণী মুখার্জির (Indrani Mukerjea-Peter Mukerjea)। ১৭ বছরের সম্পর্কে (Relationship) ইতি পড়ল। জেলে বন্দীদশাতেই ডিভোর্স (Divorce) হয়ে গেল দম্পতির (Couple)। ঠিক এক বছর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে দুই পক্ষ নিজেদের আইনজীবী মারফত মুম্বইয়ের বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্টে (Mumbai's Bandra Family Court) মিউচুয়াল ডিভোর্সের (Mutual Divorce) আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর ফ্যামিলি কোর্টের বিচারপতি দু’পক্ষকে নিজেদের সিদ্ধান্তকে ভেবে দেখার জন্য ছ’মাস অন্তর্বর্তী সময় দেন। সেই সময় শেষ হয়ে যায় এই সেপ্টেম্বরে (September)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্পর্কে ইতি টানার পথেই পা বাড়ান দম্পতি। যার ফল স্বরূপ তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি (Judge)।
মুম্বই, ৪ অক্টোবর: বিচ্ছেদ হয়ে গেল পিটার মুখার্জি-ইন্দ্রাণী মুখার্জির (Indrani Mukerjea-Peter Mukerjea)। ১৭ বছরের সম্পর্কে (Relationship) ইতি পড়ল। জেলে বন্দীদশাতেই ডিভোর্স (Divorce) হয়ে গেল দম্পতির (Couple)। ঠিক এক বছর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে দুই পক্ষ নিজেদের আইনজীবী মারফত মুম্বইয়ের বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্টে (Mumbai's Bandra Family Court) মিউচুয়াল ডিভোর্সের (Mutual Divorce) আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর ফ্যামিলি কোর্টের বিচারপতি দু’পক্ষকে নিজেদের সিদ্ধান্তকে ভেবে দেখার জন্য ছ’মাস অন্তর্বর্তী সময় দেন। সেই সময় শেষ হয়ে যায় এই সেপ্টেম্বরে (September)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্পর্কে ইতি টানার পথেই পা বাড়ান দম্পতি। যার ফল স্বরূপ তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি (Judge)।
২০১৫ সালের অগস্টে নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে (Seena Bora) হত্যার (Murder) জন্য খার পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করে ইন্দ্রাণীকে। এরপর ২০১৫-র নভেম্বরেই গ্রেফতার করা হয় পিটারকেও। মেয়ে শিনাকে হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের অগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী। সেই চক্রান্তে শামিল থাকার অভিযোগে জেলবন্দী তাঁর স্বামী পিটারও। এই ইন্দ্রাণী ও পিটার হলেন আইএনএক্স (INX) মিডিয়ার যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা। অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি)-র অনুমোদন না নিয়েই, সংস্থার জন্য কোটি কোটি টাকার বিদেশী বিনিয়োগ আনার অভিযোগ উঠে আসে তাঁদের বিরুদ্ধে। বিপদ এড়াতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলে কার্তির (Karti Chidambaram) সাহায্য নিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী ও পিটার। আর ছেলের কথা ভেবে চিদম্বরম তাঁদের অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবরে দুই পক্ষ নিজেদের আইনজীবী মারফত মুম্বইয়ের বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্টে মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন জানান। আরও পড়ুন- অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়- সহ ৪৯ জনের নামে এফআইআর দায়ের
গোয়ায় পিটারের যে অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, সেই অ্যাপার্টমেন্ট ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না (Sanjeeb Khanna) আর ইন্দ্রাণীর মেয়ে বিধি খান্নার (Bidhi Khanna) নামে করে দেওয়া ছাড়া পিটার আর ইন্দ্রাণীর বাকি সম্পত্তি নিজেদের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের ওরলির মার্লো বিল্ডিংয়ের অংশ, লন্ডনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আর স্পেনের একটি ফ্ল্যাট ছাড়াও মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেলের একটি অফিস নিয়ে পিটার আর ইন্দ্রাণীর মধ্যে সমঝোতা হয়েছে ইতিমধ্যেই। লোয়ার প্যারেলের অফিস স্পেস আইএনএক্স মিডিয়ার অফিসের জন্য নিয়েছিলেন এই দম্পতি। এছাড়াও এই দম্পতির ভারতের সিন্ডিকেট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিটে, স্পেনের ব্যাংকো সাবাদেল আটলান্টিকো, এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের এএনজেড ব্যাঙ্কে থাকা মোট তিপান্ন কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেবেন বলেই খবর।