Congress Election Manifesto: কংগ্রেসের ইস্তেহারে মহিলাদের বছরে ১ লক্ষ টাকা, ৩০ লক্ষ সরকারী চাকরি, থাকল আর কী কী
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ইস্তেহার প্রকাশ করল দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দশ বছর পর দেশের মসনদে ফিরতে কল্পতরু কংগ্রেস। হাত শিবিরের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইস্তেহারে সব রকমভাবে দেশবাসীকে খুশি করার চেষ্টা হল।
নয়া দিল্লি, ৫ এপ্রিল: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ইস্তেহার প্রকাশ করল দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দশ বছর পর দেশের মসনদে ফিরতে কল্পতরু কংগ্রেস। হাত শিবিরের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইস্তেহারে সব রকমভাবে দেশবাসীকে খুশি করার চেষ্টা হল। মহিলা ভোটার থেকে তফসিলি জাতি-উপজাতি। ছাত্র-যুব-তরুণ থেকে কৃষক, শ্রমিক গরীব মানুষ। সবার জন্যই কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার মত কারণ তৈরি করা হল মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুর গান্ধীদের ইস্তেহারে।
কংগ্রেসের দাবি হল সামাজিক ন্যায়বিচার-এর উপর দৃঢ় নজর রাখা হয়েছে ইস্তেহারের ছত্রে ছত্রে। 'ন্যায় পত্র' নামে কংগ্রেসের ইস্তেহারে সমালোচনার জায়গা কম। অনেকেই কংগ্রেসের এই ইস্তেহারে বামেদের ছাপ দেখছেন।
দেখুন খবরটি
এদিন দিল্লিতে কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সনিয়া গাঁধী , রাহুল গাঁধী, সচিন পাইলট সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। সভাপতি খাড়গে দাবি করেন, "দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ইস্তেহারের নাম হবে- ন্যায়পত্র। ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার ৫ মূল স্তম্ভ- যুবসমাজ, কৃষক, মহিলা, শ্রমিক ও ভাগীদারি গুরুত্ব পেয়েছে ইস্তেহারে। ২৫ রকমের গ্যারান্টি রয়েছে ন্যায়পত্রে।"
কংগ্রেসের ইস্তেহারে কী কী ঘোষণা--
১) ক্ষমতায় এসে শূন্য সরকারী পদ পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া। ৩০ লক্ষ সরকারী চাকরির ব্যবস্থা করা।
২) প্রথম চাকরি পাকা স্কিমের আওতায় প্রতি বছর স্নাতক পাঠরত প্রতিটি পডুয়াদের বছরে ১ লক্ষ টাকা স্টাইপেন্ড বা ভাতার ব্যবস্থা করা।
৩) দেশের প্রতিটি মহিলাকে বছরে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া।
৪) অগ্নিবীর প্রকল্প তুলে দেওয়া।
৫) দেশের সব মানুষের জন্য রোগ নির্ণয়, অস্ত্রপচার, এবং ওষুধ সহ বিনা খরচে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমা।
৬) প্রতিদিন নুন্যতম ৪০০ টাকা মজুরির গ্যারান্টি।
৭) দেশজুড়ে জাতভিত্তিক সমস্তরকম সমীক্ষা চালানো হবে। এছাড়া উপজাতি এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়েও সমীক্ষা চালানো হবে। সংবিধানে সংশোধনী এনে দেশের সব প্রান্তিক শ্রেণীর (এসসি, এসটি ও ওবিসি) জন্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।।
৮) সরকারী চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক কাজ বা চাকরি তুলে দিয়ে, সব কাজ স্থায়ী করে দেওয়া।
৯) প্রাইভেট শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলিতে তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
১০) জাতির ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর কোনওরকম হেনস্থা রুখতে রোহিত ভেমুকা আইন আনা হবে।
১১) ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক নাগরিক, বিধবা ও শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষমদের মাসিক পেনশন এক হাজার টাকা বাড়ানো হবে।
১২) ২০২৫ সাল থেকে সরকারী চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ।
১৩) মহালক্ষ্মী প্রকল্পের আওতায় দেশের সব দরিদ্র পরিবারকে বিনা শর্তে ১ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করা হবে।
১৪) আগামী দশ বছরে দেশের সব (২৩ কোটি) দরিদ্র মানুষদের দারিদ্রসীমার আওতার বাইরে নিয়ে আসা হবে।
১৫) MSP নিয়ে স্থায়ী আইনের গ্যারান্টি। কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা হবে। যেসব কৃষক ফসল উৎপাদন করছেন তাঁদের যাতে এমএসপি দেওয়া হবে।
১৬) কংগ্রেসের ইস্তেহারের সার্বিক ভিত্তি- 'কাজ', 'স্বাস্থ্য' ও 'জনকল্যাণ'। 'কাজের' অর্থ, অবশ্যই চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।