Arvind Kejriwal: খড় না পুড়িয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসে বদলে দিন, টুইট বার্তায় দূষণ কমানোর নয়া পরামর্শ কেজরিওয়ালের
পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কৃষকদের খড় বিচালি (Stubble) পোড়ানোর ধোঁয়া যখন দূষণের বার্তা দিচ্ছে। তখন সেই খড় বিচালিকে যদি গ্যাসে রূপান্তর করা যায়, তবে তার থেকে ভাল আর লাভজনক কিছু হতেই পারে না। এর ফলে দূষণের সমস্যা যেমন দূর হবে। তেমনই উপার্জনের নতুন দিক খুলে যাবে কৃষকদের কাছে। একই সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানও হবে। সিএনজি অর্থাৎ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসই পারে এই দূষণ থেকে সমগ্র রাজধানীকে বাঁচাতে।
নতুন দিল্লি, ৬ নভেম্বর : পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কৃষকদের খড় বিচালি (Stubble) পোড়ানোর ধোঁয়া যখন দূষণের বার্তা দিচ্ছে। তখন সেই খড় বিচালিকে যদি গ্যাসে রূপান্তর করা যায়, তবে তার থেকে ভাল আর লাভজনক কিছু হতেই পারে না। এর ফলে দূষণের সমস্যা যেমন দূর হবে। তেমনই উপার্জনের নতুন দিক খুলে যাবে কৃষকদের কাছে। একই সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানও হবে। সিএনজি অর্থাৎ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসই পারে এই দূষণ থেকে সমগ্র রাজধানীকে বাঁচাতে। জোড়-বিজোড় নীতির তৃতীয় দিনে এক টুইট বার্তায় একথাই বললেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কৃষকদের খড় পোড়ানোর জেরে বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকেছে দিল্লি।
এই পরিস্থিতি বদলের জন্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছেন কেজরিওয়াল। তাঁর পরামর্শ একটাই, রাজ্যের কৃষকদের উন্নত যন্ত্রপাতির সহায়তা দিন যাতে খড় না পুড়িয়ে অন্যভাবে কাজে লাগানো যায়। তবে পরামর্শই সার, সেসব কথা কানে তোলেনি পার্শ্ববর্তী রাজ্য সরকার। এদিকে জোড়-বিজোড় নীতির তৃতীয় দিনেও রাজধানীর দূষণ দশ বেহালই বলা যেতে পারে। অন্তত লোধী রোডের এই দূষণ চিত্র তারই প্রমাণ বয়ে নিয়ে চলেছে। ইন্ডিয়া গেট-সহ রাজধানীর আকাশ ঢেকে রেখেছে ধোঁয়ার আস্তরণ। সবমিলিয়ে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে অস্বাস্থ্যকর বিভাগেই পড়ছে রাজধানীর দূষণ মাত্রা। যদিও গতকাল পর্যবেক্ষকদের দাবি অনুযায়ী, সামান্য হলেও দিল্লির বাতাসে দূষণের (Delhi Air Quality) পরিমাণ কিছুটা কমেছিল। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স রিপোর্ট (AQI) বলছে, গতকাল বেলা আড়াইটের সময় দূষণ মাত্রা ছিল ৫০০। রাত দশটা নাগাদ তা কমে হয় ৪১৩। লোধী রোডের যখন এমন বেহাল দশা তখন রাজধানীর বাকি অংশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। আরও পড়ুন-Odd-Even Rule, Day 3: তৃতীয় দিনেও দূষণ ভারে জর্জরিত রাজধানী, আকাশজুড়ে ধোঁয়ার চাদর চিন্তা বাড়াচ্ছে
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল কলেজ ছুটি থাকলেও আজ রাজধানীর পড়ুয়ারা বাড়ির বাইরে পা দেবে। এদিকে দূষণের ভয়াবহতা থেকে এখনও মুক্তি পায়নি গোটা দিল্লি। অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। শ্বাসকষ্ট এড়াতে মুখে মাস্ক জরুরি হয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই দূষণ জনিত সমস্যা নিয়ে রাজধানীর হাসপাতালেগুলিতে রোগীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। তবে স্কুল খুললেও বাইরের কোনও কাজে পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ করানো যাবে না, তা-ও সরকারের তরফে স্কুল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।