IPL Auction 2025 Live

ASI On Gyanvapi Mosque Carbon Dating: পুরো শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং সম্ভব নয়, এলাহাবাদ হাইকোর্টকে জানাল এএসআই

জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরে থাকা পুরো শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং সম্ভব নয় বলে শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্টকে পরিষ্কার জানিয়ে দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। শুধুমাত্র শিবলিঙ্গের উপরের অংশে থাকা বন্ধনীটির কার্বন ডেটিং করা যাবে বলেই আজ আদালতে জানানো হয়েছে তাদের তরফে।

Photo Credits: Wikimedia Commons

বারাণসী: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ভেতরে থাকা পুরো শিবলিঙ্গের (Shiva Linga) কার্বন ডেটিং (Carbon Dating) সম্ভব নয় বলে শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্টকে (Allahabad HC) পরিষ্কার জানিয়ে দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)। শুধুমাত্র শিবলিঙ্গের উপরের অংশে থাকা বন্ধনীটির কার্বন ডেটিং করা যাবে বলেই আজ আদালতে জানানো হয়েছে তাদের তরফে।

এই বিষয়ে তাদের পেশ করা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিবলিঙ্গের সোজাসুজি কার্বন ডেটিং সম্ভব নয়। তবে লিঙ্গের সঙ্গে সংযুক্ত কোনও উপাদান থাকলে তার বয়স নির্ধারণ করা যেতে পারে পক্সি ডেটিংয়ের মাধ্যমে। কারণ পাথরের তৈরি জিনিসের উপর রেডিও কার্বন ডেটিং করা সম্ভব হবে না। তাই ওই লিঙ্গের বন্ধনী থেকে ১০ গ্রামের কম অংশ নিয়ে তার কার্বন ডেটিং করতে। তাহলেও ওই ধর্মীয় চিহ্ন কত পুরনো তা বোঝা যেতে পারে।

জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে জ্ঞানবাপী মসজিদের অজুখানায় 'শিবলিঙ্গে'র বয়স নির্ধারণ করতে কার্বন ডেটিং সম্ভব কি না তা জানাতে আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে আট সপ্তাহ সময় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। ওই দিন এএসআই-এর আইনজীবী হাইকোর্টকে জানান, 'শিবলিঙ্গে'র বয়স নির্ধারণে কার্বন ডেটিং সম্ভব কি না, তা জানাতে বিশেষজ্ঞদের আরও কিছুটা সময় লাগবে। শুক্রবার এই বিষয়েই রিপোর্ট পেশ করা হয় আদালতে।

জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ থাকার দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দু পক্ষের সেই দাবি খারিজ করে পালটা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে সুপ্রিম নির্দেশে সেই মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। বারাণসী দায়রা আদালতে বিচারক একে বিশ্বেসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে হিন্দু পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা এগোবে। মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক। জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। এরই মাঝে সেই পাথরের কার্বন ডেটিংয়ের দাবি উঠেছিল হিন্দু পক্ষের একাংশের তরফে। সেই দাবি অবশ্য খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল বারাণসী দায়রা আদালতে।