পাঞ্জাব হরিয়ানার চাষিরা খড় পোড়াচ্ছেন, মারাত্মক দূষণর গেরোয় রাজধানীর লোধী রোড
ফের দূষণের (Air Pollution) কবলে জর্জরিত রাজধানী। হেমন্তের মিঠে আবহাওয়াতেই বিষবাষ্প ডেকে আনল দিল্লির (Delhi) বুকে। লোধী রোডে এখনই দূষণের পরিমাণ বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মূলত দশেরার সময় রাজধানী জুড়ে রাবণ বধের ঘনঘটা শুরু হয়ে যায়। একই সঙ্গে লাগোয়া রাজ্যগুলিতে খড় বিচালি পোড়ার মরশুমও চলে। হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকরা পালা করে বিচালি পুড়িয়ে ফেলেন। সেই ধোঁয়া রাজধানীর বায়ুমণ্ডলকে গ্রাস করে ফেলে।
নতুন দিল্লি, ১৪ অক্টোবর: ফের দূষণের (Air Pollution) কবলে জর্জরিত রাজধানী। হেমন্তের মিঠে আবহাওয়াতেই বিষবাষ্প ডেকে আনল দিল্লির (Delhi) বুকে। লোধী রোডে এখনই দূষণের পরিমাণ বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মূলত দশেরার সময় রাজধানী জুড়ে রাবণ বধের ঘনঘটা শুরু হয়ে যায়। একই সঙ্গে লাগোয়া রাজ্যগুলিতে খড় বিচালি পোড়ার মরশুমও চলে। হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকরা পালা করে বিচালি পুড়িয়ে ফেলেন। সেই ধোঁয়া রাজধানীর বায়ুমণ্ডলকে গ্রাস করে ফেলে। দিনের আলোতেই নামে আঁধার। রবিবার বেশ কয়েকটি সংস্থার তরফে রাজধানীর দূষণ মাত্রা মনিটরিং করা হতেই ফলাফল স্পষ্ট হয়। জানা যায়, দিল্লির বায়ু মণ্ডলের অবস্থা বেজায় খারাপ। মানে দূষণ ইতিমধ্যেই বাসে বেঁধে ডালপালা ছড়াতে শুরু করেছে।
বিষয়টি জানার পরেই এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (l) বলেন, “এবছর দূষণমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বতোভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিল্লিতে দূষণ কমাতে আমাদের অনেক কিছুর প্রয়োজন রয়েছে। যাইহোক সেসবের আয়োজন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে একই সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য প্রশাসনকে একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে যেন খড় বিচালি পোড়ানোর কাজ বন্ধ করা যায়। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।” আবহাওয়া দপ্তরের অভিমত, প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ব্যাপক হারে খড় বিচালি পোড়ানোর কাজ চলছে। সেই ধোঁয়া রাজধানীর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে এমনভাবে থিতিয়ে যাচ্ছে যে আর বেরনোর নামই করছে না। যারফলে রাজধানীর আকাশজুড়ে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। আরও পড়ুন-ইনস্টাগ্রামে নরেন্দ্র মোদির ফলোয়ার ছুঁল ৩০ মিলিয়ন, পেছনে ফেললেন বারাক ওবামাকে
এদিকে এই ক্রমাগত বেড়ে চলা দূষণের মাত্রাকে কমাতে গত সেপ্টেম্বরেই নয়া পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেজরিওয়াল। গত ৪ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর এই ১২ দিন ধরে চলবে এই প্রকল্প। মূলত দীপাবলির (Diwali) পর থেকেই এই কাজে হাত দেবে কেজরিওয়ালের সরকার।