Adhir Chowdhury: ‘করোনাকালে চুপিসারে কৃষি আইন এনেছেন, আন্দোলনকারী কৃষকদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস মোদি জি’র নেই’, অধীর চৌধুরি

করোনাকালে যখন সাধারণ মানুষ সমস্যার মধ্যে ছিলেন তখন চুপিসারে আইন আনলেন। অর্ডিনান্স চালু করলেন। কৃষকদের লুঠ করা হচ্ছে, তা আমরা মানব না? আন্দোলনরত কৃষকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলার সাহস মোদিজির নেই। কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি যাওয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে সরকার প্রায়ই কথা বলছে। কিন্তু আমি বলতে চাই মাঝাখানে রয়েই গিয়েছে লোকজন। তাই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পুরোপুরি যাচ্ছে না।

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর: দিল্লির কনকনে ঠান্ডায় রাজপথে এক মাসের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রের বলবৎ করা কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন করে চলেছেন কৃষকরা। এতদিনে প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে মুখ খুললেন। এদিন কৃষকদের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে নাম না করেই বিরোধীদের ঠুকলেন মোদি। এই সুযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজের রাজ্যের কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। আবার পাঞ্জাবের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছে। দিনের পর দিন কিছু মানুষ কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে চলেছে। চলছে মিথ্যা প্রচার, চুক্তিতে চাষ করলে কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের ভূমি থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি (Adhir Chowdhury)। আরও পড়ুন-Rajinikanth Hospitalised: গুরুতর অসুস্থ রজনীকান্ত, ভর্তি হলেন হাসপাতালে

তিনি বলেন, “করোনাকালে যখন সাধারণ মানুষ সমস্যার মধ্যে ছিলেন তখন চুপিসারে আইন আনলেন। অর্ডিনান্স চালু করলেন। কৃষকদের লুঠ করা হচ্ছে, তা আমরা মানব না? আন্দোলনরত কৃষকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলার সাহস মোদিজির নেই। কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি যাওয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে সরকার প্রায়ই কথা বলছে। কিন্তু আমি বলতে চাই মাঝাখানে রয়েই গিয়েছে লোকজন। তাই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পুরোপুরি যাচ্ছে না।”

তবে অধীরবাবু একাই নন, প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায়ও কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ বাতিল করেছে। অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দিয়েছে রাজ্য। সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিল রাজ্য। ৬০০০ টাকা দিয়ে এমন ভাব করছে যেন ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলার কৃষকরা অনেক বেশি টাকা পাচ্ছে। অমিত মালব্য কে কোথা থেকে এসেছে, জানি না। অমিত মালব্য জানেন না বাংলার কৃষকদের আয় বেড়েছে। মোদি কৃষক বিরোধী আইনগুলি প্রত্যাহারের ব্যাপারে কিছু বলছেন না। শুধু পশ্চিমবঙ্গকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। যা বলছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা।”v