Muzaffarpur Shocker: ছানি অপারেশনের পরে গুরুতর সংক্রমণ, দৃষ্টিশক্তি হারালেন ৬৫ জন

ছানি অপারেশনের (Cataract Surgery) পরে গুরুতর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারালেন ৬৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুরে (Muzaffarpur)। মোট ৬৫ জন ছানি অপারেশনের পর সংক্রমণে আক্রান্ত হন। ২২-২৭ নভেম্বরের মধ্যে এতজনের ছানি অপারেশন করা হয়। তারপরই আক্রান্তদের চোখে গুরুতর সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মুজফ্ফরপুর এবং পটনার হাসপাতালগুলি এখনও পর্যন্ত ১২ জনের সংক্রমিত চোখ বাদ দিয়েছে। বাকি ৫৩ জনকেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবি(Photo credit: Wikimedia Commons)

পটনা, ১ ডিসেম্বর: ছানি অপারেশনের (Cataract Surgery) পরে গুরুতর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারালেন ৬৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুরে (Muzaffarpur)। মোট ৬৫ জন ছানি অপারেশনের পর সংক্রমণে আক্রান্ত হন। ২২-২৭ নভেম্বরের মধ্যে এতজনের ছানি অপারেশন করা হয়। তারপরই আক্রান্তদের চোখে গুরুতর সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মুজফ্ফরপুর এবং পটনার হাসপাতালগুলি এখনও পর্যন্ত ১২ জনের সংক্রমিত চোখ বাদ দিয়েছে। বাকি ৫৩ জনকেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মুজফ্ফরপুরের জুরান চাপরা এলাকার একটি চক্ষু হাসপাতাল ২২ নভেম্বর চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করেছিল। পরীক্ষার পর, ১০০ জনেরও বেশি লোককে ছানি অপারেশন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞ এনডি সাহু অপারেশন করেন। জানা গেছে, সাহুর চোখের অস্ত্রোপচারের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। অপারেশনের পর বেশ কয়েকজন রোগী চোখে ব্যথার অভিযোগ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পেইন কিলার ইনজেকশন দেয়। রাম মূর্তি সিং নামে একন ভুক্তভোগী বলেছেন, "ছানি অপারেশনের চার ঘণ্টা পর অপারেশন করা চোখে ব্যাথা শুরু হয়। আমি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা আমাকে একটি ব্যথানাশক ট্যাবলেট এবং একটি ইনজেকশনও দেন। ইঞ্জেকশনটি আমাকে সাময়িক স্বস্তি দেয়। যদিও, কয়েক ঘন্টা পরে আবারও ব্যথা শুরু হয়।" আরও পড়ুন: Blast In South 24 Parganas: নোদাখালির মোহনপুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ৩

মুজফফরপুরের মুশারি এলাকার বাসিন্দা মীনা দেবী বলেন, "অপারেশনের পর আমার চোখে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পেইন কিলার ইনজেকশন দেন। রাতে বমিও শুরু হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরের দিন আমাকে ছুটি দিয়ে দেন। পরের দিন (২৪ নভেম্বর) যখন আমি হাসপাতালে আসি, তখন ডাক্তার আমাকে সংক্রমণের কথা বলেন। তাঁরা আমাকে সংক্রমিত চোখ বাদ দিতে বলেন।"

মুজফ্ফরপুরে সিভিল সার্জন বিনয় কুমার শর্মা বলেছেন, "চোখের সংক্রমণের আরও ঘটনা আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই জেলার এক অফিসারের নেতৃত্বে দল গঠন করেছি। দলটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে সঠিক অপারেশন থিয়েটার ছিল না। দলটি সাহুর লাইসেন্স বাতিল করার জন্যও সুপারিশ করেছে। আমরা হাসপাতালের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।"