Citizenship Amendment Act: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় উত্তাল দিল্লি, সীলামপুরে ৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর জারি ১৪৪ ধারা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় গতকালই পথে নেমেছিল সীলামপুরের (Seelampur) বাসিন্দারা। এই বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওটে সমগ্র উত্তর-পূর্ব দিল্লি। বিক্ষোভকারীদের হটাতে গিয়ে পাথরের ঘায়ে নাকাল হয় পুলিশকর্মীরা। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় বুধবার সকালে সীলামপুর এলাকা থেকে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তিনটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ব্রিজপুরি এলাকায় বিক্ষোভের ঘটনাতেও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।
নতুন দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় গতকালই পথে নেমেছিল সীলামপুরের (Seelampur) বাসিন্দারা। এই বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওটে সমগ্র উত্তর-পূর্ব দিল্লি। বিক্ষোভকারীদের হটাতে গিয়ে পাথরের ঘায়ে নাকাল হয় পুলিশকর্মীরা। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় বুধবার সকালে সীলামপুর এলাকা থেকে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তিনটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ব্রিজপুরি এলাকায় বিক্ষোভের ঘটনাতেও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপরাধের পুরনো রেকর্ড রয়েছে, এমন লোকজনই মঙ্গলবার সীলামপুরের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। ১৪৪ ধারা জারির ফলে গোটা এলাকায় চারজন বা তার বেশি লোকের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে এখন কোনওরকম সভা সমিতি অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা কিছুই করা যাবে না।এউ প্রসঙ্গে যুগ্ম কমিশনার অলোক কুমার (Joint Commissioner of Alok Kumar) সংবাদ সংস্থা আইএনএস-কে বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রথম অভিযোগটি সীলামপুর হিংসাকে কেন্দ্র করে দায়ের হয়েছে। দ্বিতীয়টি জাফরাবাদ ও তৃতীয়টি ব্রিজপুরির ঘটনায় দায়ের হয়েছে। গতকাল দুপুর একটা নাগাদ যখন বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলবাস গুলি বাড়ি ফিরছে, তখন শুরু হয় বিক্ষোভ। ঝামেলার সূত্রপাত হয় সীলামপুর থেকে জাফরাবাদগামী মিছিলের মধ্যে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বিক্ষোভের কথা আগেই জানানো হয়েছিল পুলিশকে। দুপুর সওয়া একটা নাগাদ প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভই শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে উত্তেজিত হয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। বাস ও স্কুলবাসগুলিকে নিশানা করে বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ করে থান ইট, পাথর ছুড়তে শুরু করে প্রায় ২০০০ বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। বিক্ষোভের জেরে দিল্লির সাতটি মেট্রো স্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়। আরও পড়ুন-P Chidambaram On PM Narendra Modi's Challenges: দেশের যুব সম্প্রদায়ের সহিষ্ণুতা, ধর্ম নিরপেক্ষতাকে কী চ্যালেঞ্জ করছেন প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন তুললেন পি চিদাম্বরম
বিক্ষোভকারীদের পাথরের ঘায়ে ৩৬জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে আবার ১২জন পুলিশকর্মী। তবে এই বিক্ষোভের মধ্যে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটালেও পুলিশ গুলি ছোঁড়েনি। এই বিক্ষোভের মাঝে পড়ে দুটি বেসরকারি বাস, দুটি ব়্যাফের বাস ও বেশ কয়েকটি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পড়ুয়া সমেত স্কুলবাসকেও নিশানা করেছিল, তবে পুলিশি তৎপরতায় তা সফল হয়নি।