IPL Auction 2025 Live

Bipasha Basu: ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ থেকে ফেয়ার ছাঁটছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, কী বললেন বিপাশা বসু?

মার্কিন মুলুকে অ্যাফ্রো আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স, এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে গোটা পৃথিবী। এই পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় ও লাভজনক ফেয়ারনেস ক্রিম ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি থেকে ফেয়ার শব্দবন্ধটি বাদ দিতে চলেছে ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান ইউনিলিভার। হিন্দুস্তান ইউনিলিভার সচিব সঞ্জিব মেহতা বৃহস্পতিবার জানান, বিশ্বজুড়ে বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কারমেই এই ফেয়ার শব্দবন্ধ ছেংটে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী তথা সুপার মডেল বিপাশা বসু (Bipasha Basu)। তিনি বলেছেন, যেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক বাদামি চামড়ার সেদেশে ফর্সা রং-কেই সুন্দর আখ্যায়িত করে ভুল স্বপ্নের বিকিকিনি চলছে।

বিপাশা বসু (Photo Credits: Instagram)

মার্কিন মুলুকে অ্যাফ্রো আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স, এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে গোটা পৃথিবী। এই পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় ও লাভজনক ফেয়ারনেস ক্রিম ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি থেকে ফেয়ার শব্দবন্ধটি বাদ দিতে চলেছে ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান ইউনিলিভার। হিন্দুস্তান ইউনিলিভার সচিব সঞ্জিব মেহতা বৃহস্পতিবার জানান, বিশ্বজুড়ে বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কারমেই এই ফেয়ার শব্দবন্ধ ছেঁটে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী তথা সুপার মডেল বিপাশা বসু (Bipasha Basu)। তিনি বলেছেন, যেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক বাদামি চামড়ার সেদেশে ফর্সা রং-কেই সুন্দর আখ্যায়িত করে ভুল স্বপ্নের বিকিকিনি চলছে।

সিনেমায় অভিনয়ের শুরুর আগে থেকেই তাঁর বাদামি চামড়া ছিল আলোচ্য বিষয়। অভিনেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও সেই আলোচনা থামেনি। বাদামি চামড়া সত্যিই বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে ভাবনার বিষয়। যেকোনও শ্যামলা মেয়েকে শৈশব থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিপাশা লিখছেন, “যখন আমি বড় হচ্ছি, তখন প্রায়ই শুনতাম বনি সোনির থেকে বেশি কালো। সে সামান্য কালো, তাই না?  এমনকী আমার মা শ্যামলা রঙে সুন্দরী। আর আমি প্রায় তাঁরই মতো দেখতে। আমি কখনওই বুঝলাম না কেন শৈশবে দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা আমার গায়ের রং নিয়ে এত আলোচনা করতেন। ১৫-১৬ বছর বয়সেই আমি মডেলিংয়ে চলে আসি। এবং সুপার মডেল প্রতিযোগিতায় জয়ী হলে সমস্ত সংবাদ পত্রে আমার ছবি ছাপা হয়। সঙ্গে শিরোনামে লেখা কলকাতার শ্যামলা মেয়ে বিজেতা। আমি আবারও বিস্মিত হলাম এটা ভেবে যে কেন শ্যামলা রং আমার প্রথম গুণ বা দোষ? এরপর মডেলিংয়ের কাজে নিউইয়র্ক ও প্যারিসে পাড়ি দিলাম। সেখানে গিয়েই বুঝে গেলাম আমার বাদামি চামড়ার কদর আলাদা। কাজও বেশি বেশি করে পেতে লাগলাম। এই যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা, গায়ের রং নিয়ে এটি আমার দ্বিতীয় আবিষ্কার ছিল।” আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: এক দিনে আক্রান্ত ১৭ হাজারেরও বেশি, শুক্রবার ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ছুঁই ছুঁই

 

View this post on Instagram

 

From the time I was growing up I heard this always,”Bonnie is darker than Soni.She is little dusky na?“Even though my mother is a dusky beauty and I look a lot like her.I never knew why that would be a discussion by distant relatives when I was a kid. Soon at 15/ 16 I started modelling and then I won the supermodel contest ... all newspapers read ... dusky girl from Kolkata is the winner.I wondered again why Dusky is my first adjective ??? Then I went to New York and Paris to work as a model and I realised my skin colour was exotic there and I got more work and attention because of it. Another discovery of mine:) Once I came back into India and film offers started... and finally I did my first film and from an absolute Ajnabee to Hindi film industry ...I suddenly was accepted and loved. But the adjective stayed which I started liking and loving by then.DUSKY girl wows the audiences in her debut film. In most of my articles for all the work I did,my duskiness seemed to be the main discussion.. it attributed to my sex appeal apparently.And sexy in Bollywood started getting accepted widely.I never really understood this... To me sexy is the personality not just the colour of your skin...why my skin colour only sets me apart from the conventional actresses at that time.But that’s the way it was.I didn’t really see much of difference but I guess people did.There was a strong mindset of Beauty and how an actress should look and behave.I was DIFFERENT as it was pointed out. Didn’t really stop me from being and doing all that I loved. Well you see I was confident and proud of who I was from childhood.My skin colour didn’t define me ... even though I love it and wouldn’t want it to be any different ever. Many skin care endorsements with loads of money was offered to me in the last 18 years ( some were very tempting)... but I stuck to my principle always. All this needs to stop. This wrong dream that we are selling ... that only fair is lovely and beautiful when the majority of the country is brown skinned. It’s a deep rooted stigma. It’s a mammoth step from the brand... and other brands should follow in the same footsteps soon🙏

A post shared by bipashabasusinghgrover (@bipashabasu) on

দেশে ফিরে মুম্বইতে একেবারে অপরিচিত হিসেবেই ডেবিউ করলেন বিপাশা বসু। কালো মেয়ে দর্শকের মন জিতে নিল, এমন শিরোনামেই হিট হয়ে গেলাম। আমার কাজ নিয়ে যত লেখালিখি হয়েছে তার শুরুতেই এসছে গায়ের রঙের প্রসঙ্গ।এমনকী যৌন আবেদনের অঙ্গ হিসেবেও জুড়েছে গায়ের রং। আমার অভিনয় নয়, ব্যক্তিত্ব নয়, একমাত্র আলোচ্য বাদামি চামড়া। সেজন্য মডেল হিসেবে কোনওদিনই ত্বকের যত্ন সংক্রান্ত কোনও প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনে তিনি সাড়া দেননি। তাইতো হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের নয়া সিদ্ধান্তকে বিরাট পদক্ষেপ আখ্যা দিয়েছেন। এবং বাকি সংস্থা গুলিরও একই পথে চলা উচিত বলে তিনি মনে করেন।