Ruth Bader Ginsburg Dies at 87: প্রয়াত মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গ ওরফে আরবিজি, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গ শুক্রবার ওয়াশিংটনে তাঁর বাসভবনে মারা যান। উদারপন্থী নারীবাদীদের অন্যতম আদর্শ ছিলেন আরবিজি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। কোর্টের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

রুথ বেডার গিন্সবার্গ (Photo Credits: Wikimedia Commons)

ওয়াশিংটন, ১৯ সেপ্টেম্বর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গ (Ruth Bader Ginsburg) শুক্রবার ওয়াশিংটনে (Washington) তাঁর বাসভবনে মারা যান। উদারপন্থী নারীবাদীদের অন্যতম আদর্শ ছিলেন আরবিজি (RBG)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। কোর্টের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে ২৭ বছর বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "জাতি ঐতিহাসিক মর্যাদার এক বিচারপতিকে হারাল। সুপ্রিম কোর্টে আমরা এক স্নেহধন্য সহকর্মীকে হারালাম। আজ আমরা এই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শোকপ্রকাশ করছি যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রুথ বডার গিন্সবার্গকে ন্যায়বিচারের এক অক্লান্ত এবং দৃঢ় চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মনে রাখবে।" আরও পড়ুন, প্রয়াত বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পূর্বা দাম

গিন্সবার্গের মৃত্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তার স্থানটি কে পাবেন তা নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, আর ছ'সপ্তাহ পর নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি বেশ বড় ইস্যু হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেকরা। নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে আরবিজি বলেছিলেন, ‘তিনি একজন প্রতারক’। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে বিশেষ পছন্দ করতেন। বলতেন, তিনি আমার প্রিয় মানুষদের একজন।

১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেন। তিনি ছিলেন আদালতের বরিষ্ঠ সদস্য। কোর্টের লিবারেল উইংয়ের এই বিচারক ধারাবাহিকভাবে প্রগতিশীল ভোট দিয়েছেন সমাজের সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যু গর্ভপাত অধিকার, সমকামী বিয়ে, ভোটাধিকার, অভিবাসন নীতি, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ইস্যুতে। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মার্কিনবাসীরা।