থানার মধ্যেই ধর্ষকের সঙ্গেই নির্যাতিতার বিয়ে দিল পুলিশ, ঘটনায় তোলপাড় বাংলাদেশ

লাগাতার ধর্ষণে অভিযুক্তকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হল নির্যাতিতাকে। থানায় ধর্ষণের অভিয়োগ জানাতে যেতেই ধর্ষককে ডেকে নির্যাতিতার বিয়ে দিয়ে দিল পুলিশ। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই পুলিশকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পাবনা জেলায় (Pabna)।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: nsplash/Caroline Veronez)

পাবনা, ১৩ আগস্ট: লাগাতার ধর্ষণে অভিযুক্তকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হল নির্যাতিতাকে। থানায় ধর্ষণের অভিয়োগ জানাতে যেতেই ধর্ষককে ডেকে নির্যাতিতার বিয়ে দিয়ে দিল পুলিশ। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই পুলিশকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পাবনা জেলায় (Pabna)। নির্যাতিতা তরুণী একজন গৃহবধূ, তাঁর তিন সন্তান রয়েছে। গত মাসের ২৯ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাঁচজন। টানা তিনদিন ধরে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় ওই গৃহবধূকে। তারপর কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে যখন থানায় অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতা তখন থানার পুলিশ কর্মীরাই বর্তমান স্বামীকে ডিভোর্স দিতে তাঁকে একপ্রকার বাধ্য করে। এরপর ধর্ষকদের একজনের সঙ্গেই নির্যাতিতার বিয়ে দিয়ে দেয়।

গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভালরকম বোঝা যাচ্ছে ধর্ষকদের সঙ্গে পুলিশের নিশ্চই রফা হয়েছে নাহলে এমন অন্যায় কাজ করতে কেন নির্যাতিতাকে বাধ্য করতে পারে আইনের রক্ষকরা। গোটা ঘটনায় নিদারুণ ক্ষিপ্ত নির্যাতিতা গৃহবধূর দাদা। থানাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে। এরপরই পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, অভিযুক্তরা যাতে কোনওভাবেই ধর্ষণের সাজা না পায়, তার বন্দোবস্ত হিসেবেই নির্যাতিতার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পাবনার ডেপুটি পুলিশ প্রধান মহম্মদ ইবনে মিজান বলেছেন, প্রধান ধর্ষককে বিয়ের কাজে সহযোগিতা করার জন্য পাবনা থানার সাব ইন্সপেক্টর ইক্রামুল হককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। থানা চত্বরে এই বিয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্য পাবনা সদরের অফিসার ইনচার্জকেও তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন-অশ্লীল নাচে বিশ্বের মন ভুলিয়ে বিনিয়োগ টানার কৌশল ইমরান খান সরকারের, দৈন্য অর্থনীতির মত পাক সরকারের স্ট্র্যাটেজিতেও দৈন্যতার ছাপ

তবে অভিযুক্ত ইক্রামুল হককে ঠিক কতদিনের জন্য় সাসপেন্ড করা হয়েছে তানিয়ে পুলিশের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য পুলিশকর্তাদের কোথায় বদলি করা হল, তার খবরও প্রকাশ্যে আসেনি। এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদপত্র ডেলি স্টারে প্রকাশ ধৃতদের একজন আবার শাসক দল আওয়ামীলিগের নিচু তলার নেতা। সাম্প্রতিক বছরে ধর্ষণের ঘটনা মুহুর্মুহু বেড়ে চলেছে, এই ঘটনার জন্য দেশের অপরাধ বিষয়ক আইনের পদ্ধতির দুর্বলতার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now