Afghanistan Crisis: আফগানিস্তানে অন্তঃসত্ত্বা পুলিশকর্মীকে স্বামী সন্তানের সামনে হত্যা, দায় নিতে নারাজ তালিবান

তালিবানের কাবুল ধকলের পর থেকেই আফগানিস্তানে অস্থির (Afghanistan Crisis) পরিস্থিতি চলছে৷ প্রাণে বাঁচতে দেশ ছেড়ে ভিনদেশে গিয়ে শরণার্থী হতেও রাজি আফগানরা৷ মার্কিন সেনার বিমানে চেপে ফেরার আশা আর নেই৷

Taliban (Representational Image/ Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর: তালিবানের কাবুল ধকলের পর থেকেই আফগানিস্তানে অস্থির (Afghanistan Crisis) পরিস্থিতি চলছে৷ প্রাণে বাঁচতে দেশ ছেড়ে ভিনদেশে গিয়ে শরণার্থী হতেও রাজি আফগানরা৷ মার্কিন সেনার বিমানে চেপে ফেরার আশা আর নেই৷ এখন মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে গিয়ে প্রতিদিনই তালিবানের বন্দুকের ডগায় প্রাণ নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে জনগণকে৷ তবে সেই জীবনের কোনও ভরসা নেই কখন যে সে বন্দুকধারী তালিবানের খামখেয়ালিপনার শিকার হবে, কেউ জানে না৷ এর মধ্যেই আফগানিস্তানের এক মহিলা পুলিশকর্মীকে তাঁর পরিবারের সামনেই গুলি করে মারল তালিবান (Taliban militants)৷ শনিবার নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল ঘর প্রদেশের রাজধানী ফিরজখে৷ মৃত মহিলরা নাম বানু নেগার৷ তিনি স্থানী জেলের পুলিশকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷  আরও পড়ুন-Bhabanipur By-Election: ভবানীপুর আসনে প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল

তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকে ফের আফগানিস্তানে মহিলাদের উপরে অত্যাচার বেড়ে গেছে৷ এর মধ্যেই এমন নৃশংস হত্যালীলার ঘটনা ঘটল৷ গোটা ঘটনার খবর এখনও সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি৷ ফিরজখের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে৷ তবে তিনটি সূত্রে পাওয়া খবর বলছে, তালিবানের গণপিটুনিত মহিলার প্রাণ গেছে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি চালানো হয় বলে খবর৷ স্বামী সন্তানের সামনেই মৃত্যু হয় বানুর৷ বাড়ির মধ্যে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে৷ দেওয়াল ছিল রক্তের ছিটে৷ মৃতের মুখ বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে৷ আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বানু৷

জানা গেছে, শনিবার তিনজন অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারী বানুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে৷ পরিবারের লোকজন বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় খানা তল্লাশি৷ অনু্প্রবেশকারীরা আরবিতে বার্তালাপ করছিল৷ যদিও এই হত্যার দায় অস্বীকার করে তালিবান সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে জানিয়েছে, বানু নেগারের মৃত্যুর সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই৷ কে বা কার এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ এই প্রসঙ্গে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরেছি৷ আমি নিশ্চিত বলতে পারি তালিবান এই হত্যালীলা চালায়নি৷ বরং প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে৷ আশরাফ গনি সরকারে কর্মরত আফগানিদের জন্য় আগেই ক্ষমা ঘোষণা করেছে তালিবান৷ আর বানু নেগারের মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও ব্যক্তি কারণ বা অন্যকিছু থাকতে পারে৷”