Amjad Ayub Mirza: ‘স্বাধীনতা পেতে মরিয়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ’, রাষ্ট্রপুঞ্জে বললেন সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা
স্বাধীনতা চায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ। শুধু স্বাধীনতাই নয়, যেনতেন প্রকারেণ ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর অথবা লাদাখের বাসিন্দা হাতে তারা মরিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে মুখ খুললেন মীরপুরের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা (Amjad Ayub Mirza)। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের আট নম্বর বৈঠক ছিল আজ। ইংল্যান্ডের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের প্রধান হলেন এই আমজাদ আয়ুব মির্জা। এদিন মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্মৃতিতে ফেরেন।
জেনেভা ও নতুন দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: স্বাধীনতা চায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ। শুধু স্বাধীনতাই নয়, যেনতেন প্রকারেণ ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর অথবা লাদাখের বাসিন্দা হাতে তারা মরিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে মুখ খুললেন মীরপুরের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা (Amjad Ayub Mirza)। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের আট নম্বর বৈঠক ছিল আজ। ইংল্যান্ডের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের প্রধান হলেন এই আমজাদ আয়ুব মির্জা। এদিন মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্মৃতিতে ফেরেন। কীভাবে পাকিস্তান ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর মীরপুর আক্রমণ করে।
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের অধীনে কীভাবে আমরা প্রতিদিন নিষ্পেষিত হচ্ছি তা সকলেই জানে। ইতিহাসও তা সাক্ষী তারপরেও গোটা বিশ্ব চোখে ঠুলি পড়ে রয়েছে। আমার এলাকার মানুষজন যেকোনও উপায়ে পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া। এবং ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর অথবা লাদাখের সঙ্গে তারা যুক্ত হতে চায়।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে আজ ইংল্যান্ডে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন আমজাদ আয়ুব মির্জা। এদিন জেনেভায় তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে জানান, “গত ৭০ বছর ধরে রাষ্ট্রপুঞ্জে তাদের নিয়ে আলোচনা হোক, এই মর্মে আবেদন জানিয়ে আসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণ। তবে যাইহোক না কেন সেসবে বিশ্বের কারও কান দেওয়ার সময় নেই। কেননা পাকিস্তান সরকারের পাতা মোহজালে তাবড় তাব় দেশ সম্মোহিত হয়ে আছে। সেখানে তৈরি হচ্ছে হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্প। যার জেরে গোটা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করে দেবে। এর প্রতিবাদ করে গিলগিট-বালতিস্তানের যুব সম্প্রদায় পাকিস্তানের জেলে আজীবন কাটিয়ে দিল। সন্ত্রাস বিরোধী আইনের নামে সেখানে চলছে যথেচ্ছাচার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মহিলারা সীমান্তে গুলি চললে ঢাল হিসেবে দাঁড়ান না। কেননা পাকসেনারা সুযোগ পেলেই তাঁদের শ্লীলতাহানি করে।” আরও পড়ুন-West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ, দেবীপক্ষের সপ্তাহান্তে ভারী বর্ষণে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ
এদিকে প্রায় জোর করে গিলগিট-বালতিস্তানকে পাকিস্তানের ৫ নম্বর প্রদেশ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে ইমরান খানের সরকার, যা অবৈধ। এই পরিস্থিতিতে গিলগিট-বালতিস্তানে নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব।