Mujib Borsho Celebrations: ঢাকা সফরে খাদির ‘মুজিব কোট’ পরিধান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা
আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন করছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা। এই দিনটি উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদি পরিধান করবেন ‘মুজিব কোট’। তাঁর সঙ্গী উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও ‘মুজিব কোট’ পরিধান করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০০টি বিশেষ এই পোশাক তৈরি হয়ে গেছে।
ঢাকা, ২২ মার্চ: আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন (Mujib Borsho Celebrations) করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ইতিমধ্যে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা। এই দিনটি উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদি পরিধান করবেন ‘মুজিব কোট’ (Mujib Coat)। তাঁর সঙ্গী উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও ‘মুজিব কোট’ পরিধান করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০০টি বিশেষ এই পোশাক তৈরি হয়ে গেছে।
সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী, আসন্ন সফরের আগে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ১০০টি মুজিব কোট তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে কেভিআইসি ১০০টি মুজিব কোট সরবরাহ করেছে। কালো রঙের মুজিব কোটগুলোতে ছ’টি বোতাম এবং নীচের দিকে সামনে দু’টি পকেট রয়েছে। এছাড়া বুকের বামপাশে একটি পকেট রয়েছে। ঠিক তেমনভাবেই নকশা করা হচ্ছে যেমনটা বঙ্গবন্ধু পরিধান করতেন। এই মুজিব কোটগুলি বহন করা হবে, বিশেষ নকশার প্লাস্টিক-মিশ্রিত হাতে তৈরি কাগজের ব্যাগে। যা জয়পুরের কেভিআইসি’র কুমারাপ্পা ন্যাশনাল হ্যান্ডমেড পেপার ইন্সটিটিউটে বানানো। আরও পড়ুন, ২৬ ও ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ভারতীয় সংস্থা কেভিআইসির চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা জানান, “মুজিব কোট বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জন্য খুবই গর্বের বিষয় যে খাদি কাপড়ে তৈরি মুজিব কোটগুলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় পরিধান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি খাদি কাপড়ের অন্যতম প্রধান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।”
‘মুজিববর্ষ’ হল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব। বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এ উৎসব উদযাপন করার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সব আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। এ উদযাপন চলবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ উদযাপন করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তীও।