কাশ্মীর ইস্যুতে কার্যত হার স্বীকার করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইজাজ় আহমেদ বললেন, 'কেউ বিশ্বাস করে না বলেই আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে ব্যর্থ আমরা'
কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান (Paksitan)। চিন ছাড়া আর কেউ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মহলে ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করলেন খোদ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Interior Minister) ইজাজ় আহমেদ শা (Ijaz Ahmed Shah)। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) সহ অন্যদের ঘাড়ে দোষও চাপিয়েছেন তিনি।
ইসলামাবাদ, ১২ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান (Paksitan)। চিন ছাড়া আর কেউ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মহলে ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করলেন খোদ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Interior Minister) ইজাজ় আহমেদ শা (Ijaz Ahmed Shah)। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) সহ অন্যদের ঘাড়ে দোষও চাপিয়েছেন তিনি। তাঁদের 'ক্ষমতাসীন অভিজাত' বলে কটাক্ষ করেছেন। পাকিস্তানের একটি নিউজ় চ্যানেলের টক শোয়ে ইজাজ় আহমেদ শাহ বলেন, "জনগণ আমাদের বিশ্বাস করে না ... আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমরা বলি তারা (ভারত) কারফিউ চাপিয়েছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লোকেদের ওষুধ দিচ্ছে না। মানুষ আমাদের বিশ্বাস করে না। তবে তারা ওদের বিশ্বাস করে। শাসকগোষ্ঠী দেশের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে। লোকজন ভেবে নিয়েছে যে আমরা কাশ্মীর নিয়ে সিরিয়াস না।"
টক শোয়ে ইজাজ় আহমেদ শাহকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ইমরান খান, বেনজির ভুট্টো, পারভেজ় মোশারফ এবং অন্য ক্ষমতাসীন অভিজাতদের অংশ কি না? জবাবে প্রাক্তন গুপ্তচর প্রধান বলেন, "প্রত্যেকেই দায়ী। পাকিস্তানের এখনই আত্ম অনুসন্ধান করা উচিত।"জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মনবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছিলেন যে ৩৭০ ধারা (Article 370) প্রত্যাহার করার পরে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরকে এই গ্রহের বৃহত্তম খাঁচা কারাগারে রূপান্তরিত করেছে এবং মানবাধিকার সেখানে পদদলিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন : গুজরাটে বন্যা পরিস্থিতি, জঙ্গল ছেড়ে রাস্তায় অসহায় সিংহের দল! (দেখুন আতঙ্কের ভিডিও)
কুরেশির বক্তব্য পুরোপুরি খারিজ করে দেয় ভারত। পালটা কটাক্ষ করে বলে, কুরেশির বক্তব্য জম্মু ও কাশ্মীরের উপর মনগড়া। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে বলা হয়, পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র, যারা বিকল্প কূটনীতির রূপ হিসাবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ চালায়। কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণের মরিয়া চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ইসলামাবাদের মুখ পুড়েছে। রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) ধাক্কা খেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি। আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন জ়ায়েদ আল নাহিয়ান, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সহ বিশ্বের অনেক দেশের রাষ্ট্র নেতাদের কাছে কাশ্মীর নিয়ে দরবার করে পাকিস্তান। যদিও তা ব্যর্থ হয়েছে। উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে বলা বলেছেন ওই রাষ্ট্র নেতারা। ভারত বারবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে একমাত্র সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করলেই ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)