Omicron: ডেল্টার তুলনায় কম গুরুতর হলেও ওমিক্রনে হালকা সংক্রমণ হচ্ছে না, জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান

"ওমিক্রন (Omicron) প্রজাতিতে হালকা (Mild) সংক্রমণ হচ্ছে না, বরং ডেল্টার (Delta) তুলনায় কম গুরুতর সংক্রমণ হচ্ছে।" গতকাল একথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (WHO Director-General Dr Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তিনি আরও জানান, ওমিক্রন সংক্রমণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করছে এবং এর কারণে মৃত্যুও হচ্ছে। তাঁর মতে, ওমিক্রন প্রকৃতপক্ষে প্রচুর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যার কারণে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

WHO-Chief-Tedros-Adhanom-Ghebreyesus (Photo Credit: File Photo)

জেনেভা, ৭ জানুয়ারি: "ওমিক্রন (Omicron) প্রজাতিতে হালকা (Mild) সংক্রমণ হচ্ছে না, বরং ডেল্টার (Delta) তুলনায় কম গুরুতর সংক্রমণ হচ্ছে।" গতকাল একথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (WHO Director-General Dr Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তিনি আরও জানান, ওমিক্রন সংক্রমণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করছে এবং এর কারণে মৃত্যুও হচ্ছে। তাঁর মতে, ওমিক্রন প্রকৃতপক্ষে প্রচুর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যার কারণে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, "হাসপাতালগুলিতে অত্যধিক ভিড় বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে কমছে কর্মীর সংখ্যা। যার ফলস্বরূপ শুধুমাত্র কোভিড নয়, অন্যান্য রোগ ও আঘাতের ক্ষেত্রেও মৃত্যু আটকানো যাচ্ছে না। কারণ, রোগীরা সময়মত সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না।" তাঁর মতে, "প্রথম প্রজন্মের টিকাগুলি সংক্রমণ রুখতে পারছে না। তবে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু কমাতে অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে। সুতরাং টিকার পাশাপাশি মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।" টিকাকরণের গতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঘেব্রেইসাস। তিনি জানান, টিকাকরণ বর্তমান গতিতে চললে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত বিশ্বের ১০৯টি দেশ তাদের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দিতে পারবে না। আরও পড়ুন: Coronavirus: ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ, আমেরিকায় একদিনে আক্রান্ত ১০ লক্ষের বেশি মানুষ

বিশ্বজুড়ে মোট করোনভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮ লাখ। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৯ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩০ কোটি ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯১ জনের। সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ২৫ কোটি ৭৪ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৩ জন।