PM Modi vs Imran Khan at UNGA Today: নরেন্দ্র মোদি বনাম ইমরান খান, কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় উঠতে চলেছে বড়সড় ঝড়
মার্কিন মুলুকে আজ জোর খবর, রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভার (UNGA) ৭৪-তম অধিবেশনে উঠতে চলছে ঝড়। একই সঙ্গে আজ সাধারণসভায় বক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দুজনই যে পরস্পরের রাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে চলেছেন তা একেবারে স্পষ্ট। কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখে ভারতকে কোণঠাসা করতে প্রস্তুত ইমরান খান। আর অন্যদিক থেকে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে তুলোধনা করতে তৈরি নরেন্দ্র মোদি।
নিউইয়র্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর: মার্কিন মুলুকে আজ জোর খবর, রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভার (UNGA) ৭৪-তম অধিবেশনে উঠতে চলছে ঝড়। প্রথমে ভারত তারপর পাকিস্তান, আজ সাধারণ সভায় বক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দুজনই যে পরস্পরের রাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে চলেছেন তা একেবারে স্পষ্ট। কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখে ভারতকে কোণঠাসা করতে প্রস্তুত ইমরান খান। আর অন্যদিক থেকে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে তুলোধনা করতে তৈরি নরেন্দ্র মোদি। এদিনের অধিবেশনের সাত নম্বর বক্তা তিনি। পরেই রয়েছে পাকিস্তান। এবারের তু তু ম্যায় ম্যায় খেলা দেখতে তৈরি আন্তর্জাতিক মঞ্চ। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল নটায় রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভার বক্তব্যের অধ্যায় শুরু হচ্ছে।
ভারতীয় সময় বলছে তখন সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট। বিভিন্ন দেশের ৬ জন রাষ্ট্রনেতার বক্তব্যের পরেই আসবে নরেন্দ্র মোদির পালা। জানা যাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের লাইভ এদেশে দেখা যেতে পারে রাত সাড়ে আটটা নটা নাগাদ। প্রেস ইনর্ফমেশন ব্যুরো, ডিডি নিউজ ছাড়াও ভারতের সমস্ত বড়মাপের টেলিভিশন চ্যানেলেই নরেন্দ্র বক্তব্যের লাইভ সরাসরি দেখানো হবে। তাঁর বক্তব্য শেষ হলেও ইমরান খানের মঞ্চে আসার পালা, অন্তত পূর্বনির্ধারিত সূচি তাই বলছে। একই ভাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের লাইভ দেখা যাবে পাকিস্তানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভি-সহ সমস্ত বড় সংবাদ মাধ্যমে। আরও পড়ুন-কাশ্মীর ইস্যুতে এবার সালিশির প্রস্তাবও দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইমরান খান যে কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখেই বক্তব্যের আঙ্গিক সাজাবেন তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পরে মার্কিন সফরে আসা ইস্তক সমস্ত আলোচনায় ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়েই আলোচনা করেছেন ইমরান। গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি। কাশ্মীরে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, তা বিশ্বমঞ্চে জানানারো পরেও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের এনিয়ে কোনও হেলদোল চোখে না পড়ায় বেশ হতাশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে দেশের উন্নয়নের ভিত্তি, শান্তি প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ বাঁচাতে বিজেপি সরকারের উদ্যোগ, বিশ্ব ঊষ্ণায়ন রুখতে ভারতের ভূমিকা দারিদ্র্যকে মুছে ফেলতে কেন্দ্রের বিবিধ পদক্ষেপ থাকছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মূল উপজীব্য। সেই সঙ্গে সরাসরি পাকিস্তানকে আক্রমণে না গিয়েও বিশ্ব সন্ত্রাস নিয়ে তাঁকে মুখ খুলতে দেখা যাবে।