অজান্তে ব্যাঙ্ক একাউন্টে ঢুকে গেছে কোটি টাকা, আসল মালিককে ফেরত দিতে অস্বীকার করায় দুবাইয়ের জেলে এক ভারতীয়
অভিযুক্তর ব্যাঙ্ক একাউন্টে একটি মেডিকেল ট্রেডিং কোম্পানি ভুল করে ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ১.২৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করে দেয়। পরে ভুল বুঝতে পেরে ওই কোম্পানী টাকা ফেরত চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করে।
দুবাই: ২০২১ সালের একটি মামলায় জেলে যেতে হল এক প্রবাসী ভারতীয়কে। জানা গেছে অভিযুক্তর ব্যাঙ্ক একাউন্টে একটি মেডিকেল ট্রেডিং কোম্পানি ভুল করে ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ১.২৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করে দেয়। পরে ভুল বুঝতে পেরে ওই কোম্পানী টাকা ফেরত চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করে। সেই কারণে দুবাইয়ের ফৌজদারী আদালত তাকে সাময়িক ভাবে এক মাসের জন্য জেল হেফাজতের সাজা ঘোষণা করে।
দ্য ন্যাশনাল পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই ফৌজদারি আদালত এই ঘটনার রায় ঘোষণা করার সময় জানায় যে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তিকে একই পরিমাণ জরিমানা দিতে বলা হয়েছে এবং তার সাজা শেষে তাকে নির্বাসিত করা হবে।
কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বিচারকদের বলেছেন, তাদের মেডিকেল ট্রেডিং কোম্পানিটি তাদের এক ব্যবসায়িক ক্লায়েন্টকে ৫৭০,০০ এ ই ডি (AED 570,000) স্থানান্তর করতে চেয়েছিল কিন্তু ঘটনাক্রমে সেই টাকাটি চলে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে। তারা বলে আমরা আবিষ্কার করেছি যে বিশদ পরীক্ষা না করেই সরবরাহকারীর অ্যাকাউন্টের অনুরূপ একটি অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত জানিয়েছেন তিনি জমাকৃত অর্থের একটি স্থানান্তর বিজ্ঞপ্তি পেয়েছেন কিন্তু অর্থ কোথা থেকে এসেছে তা যাচাই করেননি।তিনি বলেন- আমি অবাক হয়েছিলাম যখন আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫৭০,০০ এ ই ডি (AED 570,000) ডিপোজিট করা হয়েছিল। এরপর আমি এর থেকে আমার বাড়ি ভাড়া এবং নিজের খরচের জন্য খরচা করেছি। এত কিছুর পরেও ভুলবশত টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে জেনেও অভিযুক্ত ব্যাঙ্কে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। তিনি তখন বলেন- একটি কোম্পানি আমাকে টাকা ফেরত দিতে বলেছিল, কিন্তু আমি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম কারণ আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে টাকাটি তাদেরই কিনা।
এরপর টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় মেডিকেল কোম্পানিটি দুবাইয়ের আল রাফা থানায় ঘটনাটি জানায়। থানা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করলেও টাকা উদ্ধার করা যায়নি।অভিযুক্ত ব্যক্তি তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে অন্য কোথাও জমা করেছে কিনা তা প্রকাশ করা হয়নি।
দুবাইয়ের পাবলিক প্রসিকিউশন তাকে অবৈধভাবে অর্থ পাওয়ার অভিযোগ এনে সাজা দিলেও তিনি এখন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন এবং আগামী মাসে শুনানি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।