Bangladeshi Nobel Laureate: বাংলাদেশের নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ঘুষ ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
ইউনূস অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এবং জিটিসি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৮ ও ২৯ ধারা লঙ্ঘন করে তার লভ্যাংশ হস্তান্তর করছেন।
ঢাকা, ১৫ মার্চ: বাংলাদেশি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ঘুষ ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের হাতে অপকর্মের নথি উঠে আসার পরই এই ঘটনা সামনে আসে। প্রাপ্ত কাগজপত্র অনুযায়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ টেলিকম (জিটিসি) এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ২০০৬ সালে এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রঋণ ধারণার পথিকৃৎ হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
আইএএনএসের খবর অনুসারে, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিক রহমান জানিয়েছেন, ইউনূসের কর্মীরা তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তিনি তার ও অপারেটরদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা থেকে নিরাপদে থাকার জন্য বিচারিক কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্যাতন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
১৯৯৭ সালে ইউনূস তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জিটিসির লাইসেন্স পান। এর পর গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের শেয়ারের সিংহভাগ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেন। বর্তমানে গ্রামীণ ফোন লিমিটেডে জিটিসির ৩৪.২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এর বিপরীতে জিটিসি প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ পায়। জিটিসি থেকে প্রাপ্ত এই লভ্যাংশের অধিকাংশই ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধভাবে পাচার করা হয়।
আইনজীবীদের মতে, ইউনূস ও জিটিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ইউনূস অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এবং জিটিসি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৮ ও ২৯ ধারা লঙ্ঘন করে তার লভ্যাংশ হস্তান্তর করছেন।