বাংলাদেশের নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

তাঁর সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই চলছে, এহেন অভিযোগে বাংলাদেশের নোবেল লরিয়েট অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। কারণ ইউনুসের সংস্থার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা, শুনানির দিন তিনি আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা আদালতের বিচারক। বুধবার জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

মহম্মদ ইউনুস (Photo Credit: AFP)

ঢাকা, ১০ অক্টোবর: তাঁর সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই চলছে, এহেন অভিযোগে বাংলাদেশের নোবেল লরিয়েট অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। কারণ ইউনুসের সংস্থার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা, শুনানির দিন তিনি আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা আদালতের বিচারক। বুধবার জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আদালতের কেরানি এম নুরুজ্জামান সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, মহম্মদ ইউনুসের সংস্থা গ্রামীণ কমিউনিকেশনের (GC) কর্মীদের একাংশ কর্মচারী ইউনিয়ন গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল। তাই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা আদালচের শরণাপন্ন হলে মহম্মদ ইউনুসকে তলব করে আদালত। তবে বিদেশে থাকায় বৃহস্পতিবার ঢাকা আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তবে সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক ও সিনিয়র ম্যানেজার আদালতে উপস্থিত থেকে জামিন কার্যকর করান। ইউনুসের আইনজীবী কাজি এরশাদুল আলম জানিয়েছেন, যখন আদালত শমন জারি করল তার আগে থেকেই বিদেশে রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। তিনি যত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবেন, তত তাড়াতাড়িই প্রয়োজনীয় আইনানুগ কাজকর্ম শুরু করা হবে। দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যাংকের প্রকল্প তৈরি করেছিলেন মহম্মদ ইউনুস। ৭৯ বছরের অর্থনীতির অধ্যাপককে গোটা বিশ্ব সম্মান জানালেও ২০০৭ সালে বাংলাদেশের মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য রেখে শাসকদল আওয়ামী লিগের কুনজরে পড়ে যান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বিরোধ চরমে ওঠে। আরও পড়ুন-দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং; তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক

২০১১ সালে বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান পদ থেকে মহম্মদ ইউনুসকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইউনুসের সম্পর্ক বেশ খারাপ। এদিকে পদ হারানোর পর এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়লেও জিততে পারেননি নোবেল জয়ী অধ্যাপক। নিজেই ব্যাংক তৈরি করেছিলেন, সেই ব্যাংকের জনপ্রিয়তা তাঁকে ২০০৬ সালে নোবেল পেলেন তিনি। গ্রামীণ ব্যবসায়ীদের জন্য ১৯৮৩ সালে তিনি ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেন। এখন সেই ব্যাংকের দায়িত্বে ইউনুসের আর কোনও হক নেই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিযুক্ত ব্যক্তিই এখন সেই ব্যাংকের ম্যানেজার। হাসিনা বলেছিলেন গরিবদের রক্ত চুষছেন মহম্মদ ইউনুস।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now