Padma Hilsa: উৎসবের মরসুমে পাতে পড়বে না পদ্মার ইলিশ, দুর্গাপুজোর আগেই রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের
জানানো হয়েছে, দেশের মানুষদের জন্যে ইলিশের সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতেই তা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই বছর পুজোর ভারতে পদ্মার ইলিশ পাঠানো হবে না।
হাতে আর মাত্র ১টা মাস। তারপরেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে গোটা রাজ্যবাসী। বারো মাসে পার্বণ পালন করলেও বাঙালিদের কাছে দুর্গা পুজো যেন একটা আলাদা ইমোশন। যা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পুজো মানেই জমিয়ে ঠাকুর দেখা, হৈ হুল্লোড়, গল্প আড্ড আর খাওয়া-দাওয়া। সারা বছরের ডায়েট ভুলে একেবারে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া যাকে বলে আর কি! পাঁঠার মাংস, পোলাও, চিংড়ি, ইলিশ তাতে পড়ে আরও কতশত খাবার। তবে ভোজনপ্রিয় বাঙালিদের এই বারের পুজোয় পাতে পড়বে না পদ্মার ইলিশ। ইলিশ ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ দুর্গাপুজোর দুপুরের ভুরিভোজ। এইবার বাংলাদেশ থেকে আসছে না পদ্মার ইলিশ (Padma Hilsa)। ওপার বাংলার অস্থির পরিস্থিতি কথা বিবেচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলায় পদ্মার ইলিশ (Hilsa) না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার স্পষ্ট জানান, দেশের মানুষদের জন্যে ইলিশের সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতেই তা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই বছর পুজোর ভারতে পদ্মার ইলিশ পাঠানো হবে না।
গোটা বিশ্বের ৭০ শতাংশ ইলিশ জন্মায় পদ্মায় (Padma River)। বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ রপ্তানি হত গোটা দেশে। কিন্তু বেশি আয়ের আশায় প্রায় সব ইলিশ বিদেশে রপ্তানি শুরু করে ব্যবসায়ীরা। যার ফলে দেশের লোকেরাই নিজের দেশের ইলিশ খেতে পারতেন না। এরপর ২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশের সরকার। ২০২২ সাল অবধি জারি থাকে নেই নিষেধাজ্ঞা। তবে ওই বছর নাকি সরকার ইলিশ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বলে খবর। তবে ভারতের ক্ষেত্রের চিত্রটা কিছুটা অন্যরকম ছিল। প্রতিবছরই দুর্গাপুজোর সময়ে পদ্মার কয়েক টন রূপোলী ইলিশ বাংলায় পাঠাতেন শেখ হাসিনা। হাসিনার গদি উলটে যাওয়ায় দুর্গাপুজোর পদ্মার ইলিশ খাওয়া এই বছর আর হল না রাজ্যবাসীর।