Uttar Pradesh: ফোনে কথা বলতে বলতে মহিলাকে দু'বার করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে ফেললেন নার্স, তারপর?
নার্সের গাফিলতিতে একজন মহিলাকে দু'বার করোনাভাইরাস দেওয়ার অভিযোগ এল কানপুরের দেহাত জেলার একবারপুর অঞ্চলের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। ফোনে কথা বলতে বলতে এমন গুরুতর ভুল করে ফেলেন ওই নার্স। এই খবর জানার পরই ধুন্ধুমার শুরু করে পরিবার। নার্সের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে পরিবার চড়াও হয় আধিকারিক এবং মুখ্য চিকিৎসকের ওপরে।
কানপুর, ৩ এপ্রিল: নার্সের গাফিলতিতে একজন মহিলাকে দু'বার করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ এল কানপুরের (Kanpur) দেহাত জেলার একবারপুর অঞ্চলের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। ফোনে কথা বলতে বলতে এমন গুরুতর ভুল করে ফেলেন ওই নার্স। এই খবর জানার পরই ধুন্ধুমার শুরু করে পরিবার। নার্সের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে পরিবার চড়াও হয় আধিকারিক এবং মুখ্য চিকিৎসকের ওপরে।
বছর ৫০-এর কমলেশ কুমারী করোনার প্রথম টিকা নিতে মারহাউলী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। সেখানে উপস্থিত সহায়ক নার্স অর্চনা ফোনে কথা বলতে বলতে দু'বার করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেন। এই গাফিলতির জন্য বিন্দুমাত্র দুঃখপ্রকাশ না করে উল্টে মহিলার ওপরই চড়াও হন ওই নার্স, বলে অভিযোগ পরিবারের। এমনকি ভুল স্বীকার করতেও অস্বীকার করেন তিনি। আরও পড়ুন, করোনায় আক্রান্ত আদিত্য নারায়ণ, কোভিডের থাবা গায়কের স্ত্রীর শরীরেও
দু'বার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর হাত ফুলে যায় কমলেশ দেবীর। যদিও এখনও এমন কোনও গুরুতর অসুস্থতার খবর মেলেনি। স্বাস্থ্য বিভাগের এতবড় গাফিলতিতে কমলেশ দেবীর জীবন বিপন্ন হতে পারত, তবে এই গাফিলতির দায় নিতে নারাজ স্বাস্থ্য বিভাগ। এবিষয়ে বিশদে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান জেলা আধিকারিক।
যাদের ওপর জীবন রক্ষার ভার তুলে দেওয়া হয়, তারাই যদি এমন গাফিলতি করে তবে এর দায় কে নেবে? কার ওপর তাহলে ভরসা করা যাবে? উঠছে প্রশ্ন।