West Bengal Weather Update: মাঘের হঠাৎ চরিত্র বদলে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো রোগ বাড়ার আশঙ্কা, সাবধান হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের
বাংলা ক্যালেন্ডার (Bengali Calendar) বলছে সময়টা মাঘ মাস চলছে। কিন্তু আবহাওয়া সে কথা মোটেও বলছে না। রোদের চেহারা বারেবারে বলছে সময়টা চৈত্রের চরিত্র। ভোরে-রাতে হাল্কা শীতের আমেজ যে নেই, তা নয়। কিন্তু সকাল গড়াতে না গড়াতেই সে আবেশ উধাও। মাথার উপর চড়া রোদ, আর একটু পরিশ্রম করলেই কপাল বেয়ে দরদর করে নেমে আসছে নোনা জল। হাওয়া অফিস বলছে মাঘের এই অকাল চরিত্র বদলের নেপথ্যে হাত রয়েছে পরের পর পশ্চিমি ঝঞ্ঝার। আজ শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temperature) রয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলকাতা, ১৮ জানুয়ারি: বাংলা ক্যালেন্ডার (Bengali Calendar) বলছে সময়টা মাঘ মাস চলছে। কিন্তু আবহাওয়া সে কথা মোটেও বলছে না। রোদের চেহারা বারেবারে বলছে সময়টা চৈত্রের চরিত্র। ভোরে-রাতে হাল্কা শীতের আমেজ যে নেই, তা নয়। কিন্তু সকাল গড়াতে না গড়াতেই সে আবেশ উধাও। মাথার উপর চড়া রোদ, আর একটু পরিশ্রম করলেই কপাল বেয়ে দরদর করে নেমে আসছে নোনা জল। হাওয়া অফিস বলছে মাঘের এই অকাল চরিত্র বদলের নেপথ্যে হাত রয়েছে পরের পর পশ্চিমি ঝঞ্ঝার। আজ শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temperature) রয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আরও অন্তত ৩-৪ দিন আবহাওয়া এ রকমই থাকবে। আজ এবং কাল বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও (Rain) হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতার (Kolkata) আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। কবে শীত ফিরবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, ঝঞ্ঝা সরে গেলে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফিরতে পারে ঠান্ডা। আবহবিদরা অবশ্য বলছেন, জানুয়ারিতে কলকাতায় তিরিশ ছুঁইছুঁই তাপমাত্রা নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েক বছর চড়া তাপমাত্রা দেখেছে কলকাতা। যেমন ২০০৬ সালের ৬ জানুয়ারি আলিপুরের তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৩২.৬ ডিগ্রিতে। গড় তাপমাত্রা ধরলে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রির আশপাশে। দিনের তাপমাত্রা এতটা বেড়ে যাওয়ায় রাতের তাপমাত্রাও নামার সুযোগ পাচ্ছে না। কেন এমন দুরবস্থা? আবহবিদরা জানাচ্ছেন, গত এক সপ্তাহে পর পর দু’টি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে ঢুকেছিল। শুক্রবার আবার একটি ঝঞ্ঝা হাজির হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সোমবার নাগাদ চলে আসবে আরও একটি। ফলে দীর্ঘ সময় ধরেই অবরুদ্ধ উত্তুরে হাওয়া। সাধারণত, একটি ঝঞ্ঝা তুষারপাত ঘটিয়ে সরে গেলে উত্তুরে হাওয়া জোরদার হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে দু’টি ঝঞ্ঝার ফাঁকে সময়ের ফারাক না-থাকায় কিছুতেই খোলা মাঠ পাচ্ছে না হিমেল বাতাস। তাই হিমালয়ের পাহাড়ে দফায় দফায় তুষারপাত হলেও, তার প্রভাব পড়ছে না সমতলে। যেমন, ডিসেম্বর বা জানুয়ারির শুরুতে দিল্লি-সহ উত্তর ভারত ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে গেলেও, এখন আর শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি নেই। ঠান্ডা থাকলেও, তা মাঘের তুলনায় কিছুই নয়। আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: পিঠে উৎসবে উধাও শীত, পারদ বেড়ে দাঁড়াল ১৫ ডিগ্রিতে
আবহাওয়া হঠাৎ বদলে যাওয়ায় জ্বর, সর্দি-কাশির মতো রোগ বাড়ার আশঙ্কা। তাই সাবধান হতে বলছেন চিকিৎসকরা (Doctors)। গরম লাগায় দরজা-জানালা খুলে রাখা হচ্ছে, গরম জামাকাপড় (Clothes) না পরার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। মাথায় রাখতে হবে, শরীর কিন্তু প্রস্তুত নয়। তাই হাল্কা কিছু চাপিয়ে রাখা ভালো। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের সময় দু’ধরনের সংক্রমণ হয়। এক পেটের, দুই শ্বাসনালির। কারণ, হঠাৎ করেই মানুষ অসাবধানী হয়ে পড়েন। ফ্যান চালালেও হাল্কা চাদর গায়ে রাখা যেতে পারে। এসি কিন্তু একেবারেই চালানো উচিত নয়।