WB Post-Poll Violence: পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আরও ৭টি এফআইআর করল সিবিআই

পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post-Poll Violence) ঘটনায় আরও ৭টি এফআইআর করল সিবিআই (CBI)। মোট এফআইআর-র (FIR) সংখ্যা বেড়ে হল ২৮। ভোট পরবর্তী হিংসার একটি মামলায় সিবিআই ইতিমধ্যেই নদিয়া থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল মৃত্যু মামলায় অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়।

সিবিআই( (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ২৯ অগাস্ট: পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post-Poll Violence) ঘটনায় আরও ৭টি এফআইআর করল সিবিআই (CBI)। মোট এফআইআর-র (FIR) সংখ্যা বেড়ে হল ২৮। ভোট পরবর্তী হিংসার একটি মামলায় সিবিআই ইতিমধ্যেই নদিয়া থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল মৃত্যু মামলায় অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়।

ভোটের ফল প্রকাশের পর ১৪ মে হৃদয়পুরের বাড়িতে ঢুকে ওই বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই গত ১৬ মে মৃত্যু হয় ধর্মের। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার করে ৭ জনকে। তবে অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত সদস্য কালু শেখের নেতৃত্বে হামলা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এছাড়াও, অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষ এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল মৃতের পরিবারের। আরও পড়ুন: West Bengal Corona Restrictions: রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ বেড়ে ১৫ সেপ্টেম্বর, বহাল থাকছে নৈশ নিয়ন্ত্রণ

বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়া, অন্যান্য অপরাধের তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করতে বলেছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চ আরও নির্দেশ দিয়েছিল যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য সরকার এবং অন্য যে কোনও কমিশন বা কমিটির কাছে আসা খুন ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সমস্ত রেকর্ড সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। তবে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন সব মামলা স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।