Bratya Basu: "ওরা শিক্ষক-শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার", আন্দোলনরত শিক্ষকদের আত্মহত্যার হুমকিতে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর
আন্দোলনরত শিক্ষকদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গতকাল, মঙ্গলবার বিকাশভবনের সামনে প্রকাশ্যে অরগানোফসফরাস জাতীয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁদের মধ্যে দু'জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কলকাতা, ২৫ অগাস্ট: আন্দোলনরত শিক্ষকদের (Teachers Protest) আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। গতকাল, মঙ্গলবার বিকাশভবনের সামনে প্রকাশ্যে অরগানোফসফরাস জাতীয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁদের মধ্যে দু'জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই ঘটনায় বিজেপি-র হাত আছে বলে মনে করছেন ব্রাত্য। ফেসবুকে (Facebook Post) ব্রাত্য বসু সাফ বলেন, "রাজ্য সরকার (West Bengal Government) এত দাবি পূরণের পরেও যারা এমন আন্দোলন করছেন তাঁরা আসলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নন, বিজেপি (BJP) ক্যাডার।"আরও পড়ুন: কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দু অধিকারী
প্রসসঙ্গত, গতকাল বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকার মধ্যে দু জন এখন এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিখা দাস ও জোৎস্না টুডু নামের ওই দুইজনের মধ্যে একজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাঁদের সুরক্ষায় NRS- হাসপাতাল চত্ত্বরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল এই ঘটনার পর ব্রাত্য খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। আজ তা নিয়ে ফেসবুকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দীর্ঘ পোস্টে লেখেন, '' রাজ্য সরকারের এত দাবিদাব পূরণ করার পরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।"
ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু লিখেছেন...
•বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগসুবিধা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়।
•সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০,৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩,৩৯০ টাকা করা হয়। এ ছাড়াও বাৎসরিক ৩% বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে।
•প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে।
•যাঁরা ৬০ বছর বয়েসে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লাখ টাকা এককালীন অবসর-ভাতা চালু করা হয়েছে। বাকিদের জন্যও এই সুবিধা দানের বিষয়ে অর্থ দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
•৬০ বছর বয়েসে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত যাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য ১/২/২১ থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা হয়েছে।
•মহিলাদের জন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
•এ ছাড়াও প্রত্যেককের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সহ বাৎসরিক ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ বা ছুটির অধিকার দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)