দার্জিলিং আলাদা রাজ্য হচ্ছে? রাজু বিস্তের চিঠির পর জবাবে কী বলছে রাজ্য বিজেপি!
লাদাখবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ভাগ করে তাদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। লাদাখ মডেলে এবার দার্জিলিংয়েও আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছেন বিমল গুরুংরা। গুরুংদের সাফ কথা, পশ্চিমবঙ্গে আর থাকতে রাজি নয় দার্জিলিং।
দুর্গাপুর, ১১ অগাস্ট: লাদাখবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) থেকে ভাগ করে তাদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (Union Territory) মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। লাদাখ (Ladakh) মডেলে এবার দার্জিলিংয়েও আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)-রা। গুরুংদের সাফ কথা, পশ্চিমবঙ্গে আর থাকতে রাজি নয় দার্জিলিং (Darjeeling)। হয় গোর্খাল্যান্ড পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এমনকি একধাপ এগিয়ে দার্জিলিংকে বিধানসভার মর্যাদা থাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিও তুলেছেন গুরুংরা।
দার্জিলিঙকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্ত। এরপরেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে জোর প্রতিক্রিয়া। দার্জিলিং নিয়ে বাঙালীর আবেগটা দীর্ঘদিনের। দার্জিলিং বাঙলা থেকে ভাগ করা হলে, বাংলায় বিজেপি-র ভাবমূর্তি জোর ধাক্কা খাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী ৩১ অক্টোবর পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। তারপর গুরুংরা নাকি তাদের দাবির সুর আরও চড়াবেন। এমন অবস্থায় দার্জিলিং নিয়ে মুখ খুলল রাজ্য বিজেপি। আরও পড়ুন-পশ্চিমবাঙলায় আর নয়, কাশ্মীরের মত দার্জিলিংকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানানোর দাবি বিমল গুরুংয়ের
দুর্গাপুরে চলছে বিজেপি-র চিন্তন বৈঠক। ২০২১ বিধানসভার রণকৌশল স্থির হচ্ছে রাজ্য বিজেপি-র এই চিন্তন শিবিরে। এই শিবিরে আছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত-ও। সম্ভবত এই বিষয়ে আলোচনাও চলছে। তারই মাঝে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, 'দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গেই থাকবে। এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।' যদিও সায়ন্তন বসুর এই কথাতেই যে এই বিতর্ক থামবে তা ভাবার অপেক্ষা নেই। কারণ লাদাখকে সামনে রেখে গুরুংরা যে এবার পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য ঝাঁপাবেন তা পরিষ্কার। গোর্খা জনমুক্তির সমর্থনে দার্জিলিংয়ে জিতে আসা বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তকেও এ বিষয়ে গুরুংদের সঙ্গে থাকার দায় রয়েছে। রাজ্য বিজেপি-নেতাদের সামনে এখন কঠিন প্রশ্ন।