West Bengal Announces Complete Lockdown: রাজ্যে লকডাউনে কী খোলা থাকছে, কী সম্পূর্ণ বন্ধ
যেমনটা মনে করা হয়েছিল তেমনই হল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মত পশ্চিমবাঙলাতেও জারি হল লকডাউন।
কলকাতা, ১৫ মে: যেমনটা মনে করা হয়েছিল তেমনই হল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মত পশ্চিমবাঙলাতেও জারি হল লকডাউন (West Bengal Lockdown)। করোনা (Corona Virus) সংক্রমণে বাড়তে থাকায় শেষ অবধি লকডাউনের পথেই হাঁটতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার। আজ, শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে লকডাউনের ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় (Alapan Banerjee)। আগামিকাল, রবিবার ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। বন্ধ থাকবে মেট্রো, বাস। খোলা থাকবে হোম ডেলিভারি, ই-কমার্স। বন্ধ থাকবে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস। ওষুধের দোকান ও চশমার দোকান খোলা থাকবে। পেট্রল পাম্প খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যাঙ্ক দিল্লিতে, বড় পদক্ষেপ কেজরির
ব্যাঙ্ক চালু থাকবে বেলা ১০টা থেকে ২ টো পর্যন্ত। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া খোলা থাকবে। বিবাহের অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি মানুষকে অনুমতি দেওয়া হবে না। শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবে না। অবশ্যই মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব। খুচরো দোকান সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা। চা বাগানে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে।
রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি হল রাজ্যে। শপিং মল, স্পা, রেস্তোরাঁ, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, সিনেমা হল বন্ধ থাকবে। লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাস পরিষেবা, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ট্যাক্সি বা অটো চলাচল জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক রাজ্যে লকডাউনে কী কী কতক্ষণ খোলা, কতক্ষণ বন্ধ
ব্যাঙ্ক সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে।
জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে অটো ও ট্যাক্সি পরিষেবা
ই কমার্স ও হোম ডেলিভারি খোলা থাকবে।
সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান, কারখানা এবং ফ্যাক্টারি বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে মদের দোকান।
সমস্ত গণপরিবহণ, বাস এবং মেট্রো পরিষবা বন্ধ থাকবে।
চা বাগানে ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে।
জুটমিলে কেবলমাত্র ৩০% কর্মী/শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে পারবে।
স্কুল, কলেজ এবং সমস্ত ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
খুচরো দোকান শুধুমাত্র সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মিষ্টি ও মাংসের দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বিয়েবাড়িতে ৫০ জন ও শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকা যাবে না।
ওষুধের দোকান ও চশমার দোকান খোলায় কোনও বাধা নেই।
ওষুধ ও খাদ্য পরিষেবা পরিবহণ ছাড়া আন্ত:রাজ্য ট্র্যাক চলাচল ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাবে।
সব ধরনের রাজনৈতিক, বিনোদনী, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জমায়েত নিষিদ্ধ।
পার্ক, অভয়ারণ্য এবং চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখা থাকবে।
শপিং কমপ্লেক্স, মল, রেস্তোঁরা, সেলুন, জিম, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে।