Soumitra Chatterjee: মস্তিষ্কে স্নায়ুজনিত সমস্যা কমেনি, বাড়ল সৌমিত্র চ্যাটার্জির শারীরিক অস্থিরতা
বুধবার সারাদিনে বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জির (Soumitra Chatterjee) মস্তিষ্কের স্নায়ুজনিত সমস্যার কোনও উন্নতি হয়নি। বরং তাঁর শারীরিক অস্থিরতা বেড়ে গিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যাতেই বেলভিউ হাসপাতালের তরফে জানানো হয় গত দুদিনের মতোই একই রয়েছে প্রবীণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থা। এই মুহূর্তে তাঁর শরীরে কোনও সংক্রমণের চিহ্ন নেই, হৃদপিণ্ড, লিভার, কিডনি সবই ঠিকঠাক কাজ করছে। গতকাল থেকে তাঁকে হাইডোজের স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা শরীরে ভালই আছে। তাই খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে থেকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। এই মুহূর্তে সৌমিত্রবাবুর মস্তিষ্কের স্নায়ুজনিত সমস্যাই চিকিৎসকদের বিশেষ করে ভাবাচ্ছে।
কলকাতা, ২২ অক্টোবর: বুধবার সারাদিনে বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জির (Soumitra Chatterjee) মস্তিষ্কের স্নায়ুজনিত সমস্যার কোনও উন্নতি হয়নি। বরং তাঁর শারীরিক অস্থিরতা বেড়ে গিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যাতেই বেলভিউ হাসপাতালের তরফে জানানো হয় গত দুদিনের মতোই একই রয়েছে প্রবীণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থা। এই মুহূর্তে তাঁর শরীরে কোনও সংক্রমণের চিহ্ন নেই, হৃদপিণ্ড, লিভার, কিডনি সবই ঠিকঠাক কাজ করছে। গতকাল থেকে তাঁকে হাইডোজের স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা শরীরে ভালই আছে। তাই খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে থেকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। এই মুহূর্তে সৌমিত্রবাবুর মস্তিষ্কের স্নায়ুজনিত সমস্যাই চিকিৎসকদের বিশেষ করে ভাবাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে।
করোনাকে তাড়িয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা আশার খবর শুনিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাত থেকে সেই আশা আশঙ্কায় বদলে গেল আচমকাই। জানা গেল, ওঁর কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি এখনও আছে। অর্থাৎ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সন্তোষজনক নয়। এটা কবে ঠিক হবে এখনই বলা যাচ্ছে না। 'গ্লাসগো কোমা স্কেল' আগে ১১ পর্যন্ত উঠেছিল। তারপর সূচক অবশ্য নামতে শুরু করেছে। এ জন্য একটু তন্দ্রাচ্ছন্নও থাকছেন সৌমিত্র। সুস্থ হয়েও যেন সুস্থতা সৌমিত্র চ্যাটার্জিকে ছুঁতে পারছে না। গত চব্বিশ ঘন্টায় তাঁর মস্তিষ্কে হঠাৎ স্নায়ুজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। এবং তার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। মস্তিষ্কে যে হঠাৎ করে স্নায়ুজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা বোঝা গেল গ্লাসগো কোমা স্কেলে। মূলত মস্তিষ্কে চোটের পর রোগী কতটা সাড়া দিচ্ছে তা বোঝার জন্য এই স্কেলের ব্যবহার হয়। পরবর্তী কালে অন্য কারণে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিলেও এই সূচক ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে অনেকটা সফল ভাবে মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বিচার করা যায় বলে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা এখন মনে করেন। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: বৃহস্পতিবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ লাখ ছাড়ালো, মৃতের সংখ্যা ১,১৬,৬১৬
হাসপাতালের নিউরো মেডিক্যাল বোর্ড মনে করছে, স্টেরয়েড ইত্যাদি দেওয়ার ফলে ওঁর সাময়িক উন্নতি হয়েছিল। তবে স্টেরয়েড বন্ধ করতেই সেই উন্নতি থমকে গিয়েছে। তাই আগামী দুদিন আবার স্টেরয়েড দিয়ে দেখতে হবে। অন্যদিকে ভাল খবরও রয়েছে, বেশির ভাগ সময়ে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না সৌমিত্রকে এবং তাতে ওঁর অসুবিধাও হচ্ছে না। বাকি 'প্যারামিটার' ঠিকঠাক আছে। গোড়া থেকেই সৌমিত্র চ্যাটার্জির দেখভালের জন্য হাসপাতালের তরফে ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিম গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই রয়েছেন তিনি।