Mithun Chakraborty: ‘কারও দিকে আঙুল তুলতে চাই না, আমারই সিদ্ধান্তে ভুল ছিল’, ব্রিগেডে বললেন মিঠুন

আগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সাত তারিখে বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে একথাই বললেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। দলবদলের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রোলড বর্ষীয়ান অভিনেতা। অতি বামপন্থা থেকে সোজা তৃণণূলে এসেছিলেন। তারপর একেবারে ডানপন্থী দলে যোগ দিয়ে আবেগাপ্লুত মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, “কারও দিকে আঙুল তুলতে চাই না। কাউকে দোষও দিচ্ছি না। আমারই সিদ্ধান্তে ভুল ছিল।” হঠাৎ বিজেপির হাত ধরার প্রসঙ্গ টেনে রাজনীতিকেই মানবনীতিতে বদলে দেওয়ার চেষ্টা জারি রাখলেন মহাগুরু।

মিঠুন চক্রবর্তী (Photo Credits: Social Media)

কলকাতা, ৮ মার্চ: আগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সাত তারিখে বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে একথাই বললেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। দলবদলের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রোলড বর্ষীয়ান অভিনেতা। অতি বামপন্থা থেকে সোজা তৃণণূলে এসেছিলেন। তারপর একেবারে ডানপন্থী দলে যোগ দিয়ে আবেগাপ্লুত মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, “কারও দিকে আঙুল তুলতে চাই না। কাউকে দোষও দিচ্ছি না। আমারই সিদ্ধান্তে ভুল ছিল।” হঠাৎ বিজেপির হাত ধরার প্রসঙ্গ টেনে রাজনীতিকেই মানবনীতিতে বদলে দেওয়ার চেষ্টা জারি রাখলেন মহাগুরু। বললেন, “সকলেরই একটা পতাকা প্রয়োজন হয়। প্রধানমন্ত্রী আমায় ডেকে যখন কথা বললেন, আমি বললাম, আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। আমি বাংলাকে ভালবাসি।” আরও পড়ুন-BJP Brigade Rally LIVE: এবার জোরসে ছাপ, টিএমসি সাফ: নরেন্দ্র মোদি

তবে সোকল্ড প্রোটোকলের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন ডিস্কো ড্যান্সার। বরং বাংলায় গেরুয়া শিবিরের আগমন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ওঁর সঙ্গে আমার খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। সব কথা তো প্রকাশ্যে বলা যায় না। বাংলায় বিজেপি যথেষ্ট জায়গা তৈরি করেছে। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করছে, ওরা রাজ্যের জন্য ভাল কিছু করবে। তারা ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেটা কখনও মিথ্যে হতে পারে না। তার মধ্যে কিছু সততা থাকে।” ব্রিগেডে এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাদা করে ১৫ মিনিট কথাও বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই বার্তালাপে ঠিক কী কী প্রতিশ্রুতি পেলেন মহাগুরু তানিয়ে প্রকাশ্যে একেবারে স্পিকটি নট।

অতি বামপন্থায় মিঠুনের নাম জড়িয়েছিল একদা। বামনেতা সুভাষ চক্রবর্তীর ঘরের লোক হিসেবে বেশ সুপরিচিত ছিলেন তিনি। সুভাষবাবুর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে মিঠুন রমলা চক্রবর্তীর হয়ে প্রচারও করেন। এখানেই শেষ নয়, এরপর তাঁর তৃণমূলে আসা। তবে ঘাসফুলে যোগ দিয়ে যে ভুল করছেন, তা মহাগুরুর কথায় স্পষ্ট। তিনি রাজ্যসভার সদস্য হতে চাননি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ডেকে নিয়েছিলেন। তবে সারদা কেলেঙ্কারির পর ইডি-র তলব ও টাকা ফেরত দেওয়া রাজ্য সভার সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়া। সবই ঘটেছে পরের পর।