Shatabdi Roy: শনিবারের বারবেলায় মুখ খুলবেন, শতাব্দী রায়ের ফেসবুক পোস্টে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল
ভোট এলেই তৃণমূলের ঘর খালি হওয়ার ধুম পড়ে যায়। এবার তার শুভ সূচনা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে একে একে দলবদল চলছেই। গত ১১ জানুয়ারি বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন শনিবার তিনি কিছু জানাবেন। এবার মন্ত্রীর পর বীরভূমরে সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Roy) পালা। তিনিও ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, শনিবার বেলা দুটোর সময় নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন। ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন শতাব্দী রায়? তিনিও কী দলবদলের দলভারী করতে এগিয়ে গেলেন নাকি অন্যকিছু তা জানাতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। কেননা এমন মারকাটারি পোস্টের পর থেকে অভিনেত্রী ফোন সুইচ অফ রয়েছে।
কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি: ভোট এলেই তৃণমূলের ঘর খালি হওয়ার ধুম পড়ে যায়। এবার তার শুভ সূচনা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে একে একে দলবদল চলছেই। গত ১১ জানুয়ারি বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন শনিবার তিনি কিছু জানাবেন। এবার মন্ত্রীর পর বীরভূমরে সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Roy) পালা। তিনিও ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, শনিবার বেলা দুটোর সময় নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন। ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন শতাব্দী রায়? তিনিও কী দলবদলের দলভারী করতে এগিয়ে গেলেন নাকি অন্যকিছু তা জানাতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। কেননা এমন মারকাটারি পোস্টের পর থেকে অভিনেত্রী ফোন সুইচ অফ রয়েছে। তাই শনিবারের বারবেলার দিকেই অপেক্ষা করে রয়েছে তৃণমূল শিবির। আরও পড়ুন-Swasthya Sathi Card: শিলিগুড়ির পর কলকাতা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দিতে নারাজ বেসরকারি হাসপাতাল
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাব’-এর পেজে সাংসদের নিজের বয়ানে ‘বীরভূমে আমার নির্বাচন কেন্দ্রের মানুষের প্রতি’ শিরোনাম রেখে একটি পোস্ট হয়েছে। তাতে তিনি লিখেছেন, নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। গোটা পোস্টজুড়ে দলীয় নেতৃত্বের উপরে তাঁর জমে থাকা ক্ষোভ বেশ বোঝা যায়। তবে সিদ্ধান্তটা যে ঠিক কী তানিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ওই ঘোষণার পরেই ‘সিঁদুরে মেঘ দেখছে’ তৃণমূল। শনিবারের বারবেলায় নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। লিখেছেন, ‘২০২১ খুব ভাল কাটুক। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন। এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করছেন, কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। আমি তাঁদের বলছি, যে আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভাল লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না’। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়। গত দশ বছরে আমি আমার বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার। এটা শত্রুরাও স্বীকার করে’।
বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের শতাব্দী রায়ের দূরত্ব যে দীর্ঘ তা প্রায় সকলেই জানেন। আর এক দলীয় সাংসদ অসিত মালের সঙ্গে কেষ্ট মণ্ডলের সম্পর্ক ভাল। যদিও শতাব্দী রায়ের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রেখেছেন অনুব্রতবাবু। তিনি য়ে চাষার ছেলে হয়ে হেঁয়ালি বুঝবেন না তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এদিকে নিজের কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে হাজির থাকাটা যে ভোটারদের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা তা মনে করাতে ছাড়েননি শতাব্দী রায়। তবে কাজের সুযোগ না থাকায় যে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব থেকে সরতে চেয়েছেন-তাও জানান। তবে এখনই বিজেপি সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এমনকী তৃণমূলে থেকে কাজ করতে পারছেন কি না তার উত্তরও পরেই দেবেন বলে জানান।