সারদা মামলার জট খুলতে এবার শতাব্দী রায়কে তলব করল সিবিআই
এবার সারদা কাণ্ডে বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়কে জেরা করবে সিবিআই। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় চিটফান্ড সংস্থা সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন। এর আগেও তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে সিবিআই কর্তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ফের শতাব্দী রায়েক হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
কলকাতা, ৮ জুলাই: এবার সারদা কাণ্ডে বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Shatabdi Roy) জেরা করবে সিবিআই। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় চিটফান্ড সংস্থা সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন। এর আগেও তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে সিবিআই কর্তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ফের শতাব্দী রায়েক হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ১২ জুলাই শতাব্দী রায়কে যেতে হবে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Cmplex)। লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে থেকেই ফের সারদা তদন্ত নিয়ে উঠেপড়ে লাগে কেন্দ্র ও সিবিআই। আরও পড়ুন-অনুব্রত মণ্ডল গুরুতর অসুস্থ, ব্লাড সুগার-কার্বোঙ্কল-প্রেসারের সমস্যা SSKM-কে ভর্তি কেষ্ট কেমন আছেন!
গত ফেব্রুয়ারিতে এই সারদা মামলাকে সামনে রেখে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ সুপার রাজীব কুমাররে বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তারপর তো রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছিল, গণতন্ত্রের টুঁটি চিপে ধরার অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রোচ্যানেলে ধর্নায় বসে পড়েন। বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতিনিধিরা এই ধর্নামঞ্চকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করে যান। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চন্দ্রবাবু নায়ডু, কানিমোঝি ও তেজস্বী যাদব প্রমুখ। এদিকে সারদাকাণ্ডের তদন্তের জন্য যে পুলিশকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে রাজীব কুমার ও অর্ণব ঘোষকে জেরা করে ফেলেছে সিবিআই। অর্ণব ঘোষকে জেরার পর সিবিআই এই কাজে আরও তৎপরতা বাড়ায়। প্রসঙ্গত, অর্ণব ঘোষকে যখন সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করছিলেন গোয়েন্দারা, তখন দেখা গিয়েছিল ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি আসতে। অনেকে মনে করছেন, ওই জেরায় যা উঠে এসেছে, তা সুদীপ্ত-দেবযানীর থেকে যাচাই করে নিতে চাইছে সিবিআই। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারেন গোয়েন্দারা। মাস খানেক আগে বারাসত স্পেশাল কোর্টে সিবিআই-এর তরফে আর্জি জানানো হয় তারা জেলে গিয়ে সুদীপ্ত-দেবযানীকে জেরা করতে চায়। এতদিন ঝুলে থাকার পর আদালত থেকে অনুমতি মিলেছে। এই জেরাপর্ব শুরুর আগেই শতাব্দী রায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন সিবিআই কর্তারা।
উল্লেখ্য, সারদাকাণ্ডে সিবিআই-এর নাজরে থাকা প্রত্যেকের কথাবার্তা শোনার পর সেসবই জেলে গিয়ে সুদীপ্ত ও দেবযানীর বক্তব্যের সঙ্গে মেলাতে হবে. তাহলেই অনকে জট খুলে যাবে। এদিকে জট খুলতেই সারদার ১৬টি অফিসে নতুন করে তল্লাশি করেছে সিবিআই।