Mamata Banerjee: শুভেন্দু ক্ষত, ৭ জানুয়ারির শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন না মমতা

কথা দিয়েও শেষপর্যন্ত আগামী ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন না তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পরেই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা। পরে বলা হচ্ছে, তৃণমূলনেত্রী নন শহিদদিবসে নন্দীগ্রামে সভা করবেন সুব্রত বক্সি। শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়ার পর দুপা এগিয়ে হঠাৎ করে পিছিয়ে কেন এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে মমতার সভা করার অর্থ শুভেন্দুকে বেশি মাত্রায় পাত্তা দেওয়া।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ২৮ ডিসেম্বর: কথা দিয়েও শেষপর্যন্ত আগামী ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন না তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পরেই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা। পরে বলা হচ্ছে, তৃণমূলনেত্রী নন শহিদদিবসে নন্দীগ্রামে সভা করবেন সুব্রত বক্সি। শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়ার পর দুপা এগিয়ে হঠাৎ করে পিছিয়ে কেন এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে মমতার সভা করার অর্থ শুভেন্দুকে বেশি মাত্রায় পাত্তা দেওয়া। তবে ৭ জানুয়ারি না গেলে কবে মমতা নন্দীগ্রাম যাবেন তানিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর কেনই বা যাচ্ছেন না, তানিও দলের কেউ মুখ খোলেননি।

এদিকে শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভা করার কথা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের খবর পেয়ে তিনি আট তারিখে সভা ডেকেছেন। এবং মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “শুভেন্দুকে ঠেকাতে জোড়ায় জোড়ায় মন্ত্রী পাঠিয়ে যখন কাজ হচ্ছে না, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আসছেন নন্দীগ্রামে। আপনি সাত তারিখে পুলিশ দিয়ে মাঠে লোক ভরাবেন। আর আট তারিখে আমার ভালবাসার টানে মাঠে লোক আসবে।” তবে এবার না হোক অন্যবার দিদির জমায়েতকে টেক্কা দিতে অপেক্ষা করে থাকবে শুভেন্দু অনুরাগীরা। জনপ্রিয়তার নিরিখে সেদিনই বিচার হবে নন্দীগ্রামের জনতা দিদি না দাদার পাশে আছে। এই আশায় দিন গুনছে শুভেন্দু অনুরাগীরা। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: দুদিনের জেলা সফরে আজ বোলপুরে মমতা, বিজেপি বিরোধী প্রচারে হাতিয়ার রবীন্দ্রনাথ

বলাবাহুল্য, প্রায় ১১ বছর আগে রাজ্যের পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল নন্দীগ্রাম। সেদিনে তৃণমূলের বৈতরণী পার করতে কাণ্ডারী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফল স্বরূপ ২০১৬-রবিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের মানুষ ৮১ হাজারেরও বেশি ভোটে শুভেন্দুকে জিতিয়ে দেয়। তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ভাগ্যে জোটে ৬৮ হাজারের থেকে সামান্য বেশি ভোট। সমীকরণ যেন তখন থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। দশক পেরিয়ে তৃণমূলের কাণ্ডারী আজ বিজেপির হাল ধরেছেন। রাজনৈতিক পালাবদলে ফের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিঃক্ষণে সেদিনের নন্দীগ্রাম।