Suvendu Adhikeri: ৪ মাস পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনালাপ শুভেন্দুর, দলে থাকছেন কাঁথির যুবনেতা?
মঙ্গলবার কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও রাজনৈতিক কুশলি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই জল্পনা সামান্য হলেও কমেছে। মূলত সৌগত রায় চেয়েছিলেন তৃমূলের যুযুধান দুই পক্ষ অভিষেক ও শুভেন্দুর মধ্যে কথা বলিয়ে দেওয়া। শ্যামবাজারের ওই বাড়িতে প্রবেশ করেই অভিষেক শুভেন্দু হাত জড়িয়ে বলেছিলেন, আমরা সবাই দলকে ভালবাসি। তাই একসঙ্গেই কাজ করতে চাই। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়।
কলকাতা, ২ ডিসেম্বর: গত শুক্রবার মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। এবার তাহলে দল ছাড়তে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুযোগ পেয়েই আলটপকা কটাক্ষ শুরু করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষ। তবে যে যাই বলুক না কেন মন্ত্রী পদ ছাড়ার পরে আর মুখ খোলেননি কাঁথির তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার অরাজনৈতিক সভায় যোগদান করে রাজনৈতিক কোনও রকম মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। এদিকে তাঁর মন্ত্রী পদ ছাড়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম আক্রমণ শানান। যদিও আলোচনার রাস্তা খোলা আছে, প্রথম থেকে এই কথা বলে আসছিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা সৌগত রায়। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর শুভেন্দুর এই চুপ করে যাওয়া নিয়ে যত ঢেউ উঠেছিল। আরও পড়ুন-Farmers' Protest: ফের কৃষকদের ওপর শর্ত চাপালো কেন্দ্র, ৩ ডিসেম্বর আবার আলোচনা
মঙ্গলবার কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও রাজনৈতিক কুশলি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই জল্পনা সামান্য হলেও কমেছে। মূলত সৌগত রায় চেয়েছিলেন তৃমূলের যুযুধান দুই পক্ষ অভিষেক ও শুভেন্দুর মধ্যে কথা বলিয়ে দেওয়া। শ্যামবাজারের ওই বাড়িতে প্রবেশ করেই অভিষেক শুভেন্দু হাত জড়িয়ে বলেছিলেন, আমরা সবাই দলকে ভালবাসি। তাই একসঙ্গেই কাজ করতে চাই। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়। মমতা জানান, সামনে খুব কঠিন লড়াই। তিনি সাত ডিসেম্বর মেদিনীপুরে সভা করছেন। সেখানে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত তৃণমূল বিধায়করা উপস্থিত থাকবেন। শুভেন্দুও যেন আসেন। এখন দেখার শুভেন্দু সেই সমাবেশে যান কি না। উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাইয়ের পর এই প্রথম তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে বরফ গলল বলেই অনেকে মনে করছেন। বৈঠক শেষে সৌগত রায়ের দাবি, ‘আমরা সকলেই দলকে ভালবাসি। একসঙ্গে সকলে দল করতে চাই। দু’জনকেই (অভিষেক-শুভেন্দু) আমি খবর দিয়েছিলাম। দু’জনের একসঙ্গে বসার প্রয়োজন ছিল। সেটা হওয়ায় সব মিটে গিয়েছে। বৈঠক ভাল হয়েছে।’’ শুভেন্দুর বাবা তথা তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও বলেছেন, ‘‘সমস্যা ছিল। তবে সমস্যা মিটে গেলে ভাল। তাতে দলের ভাল হবে।’’ তৃণমূলেরই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার শুভেন্দুকে আক্রমণ করছিলেন। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর কল্যাণও বলেছেন, ‘‘এর চেয়ে ভাল খবর আর কিছু হতে পারে না। আমি এই বৈঠককে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ কল্যাণ আরও জানিয়েছেন, তিনি আর অতীতের পুনরাবৃত্তি চন না। তাঁর অতীতের মন্তব্যের ময়নাতদন্তও করতে চান না।
তবে শুভেন্দু য়ে পাঁচ জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ছিলেন সেখানে প্রার্থী বাছাই অন্য কেউ করবে তা তিনি চান না। তৃণমূলের এক নেতা এই সম্পর্কে বলেছেন, আমরা সবাই মিলেই প্রার্থী বাছাই করব। অর্থাৎ পিকে বা অভিষেক নয় শুভেন্দুর কথামতোই ওই পাঁচ জেলায় প্রার্থী ঠিক হবে। তবে বৈঠকের পর সবাই মুখ খুললেও শুভেন্দু অধিকারী এখনও এনিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি। তিনি যে কী বলেন, তার দিকেই তাকিয়ে আছে বাংলার রাজনৈতিক মহল, তৃণমূল শিবির ও আমজনতা।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)