SSC Recruitment Scam: জেলে কীভাবে কাটছে পার্থ-অর্পিতার, তাঁরা কোনও বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন?
শুক্রবার রাত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Jail) ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলটি পশ্চিমবঙ্গের এক সময়ের হেভিওয়েট মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভার্চুয়াল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) আবাসস্থল হয়ে উঠেছে৷ তবে প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে কোনও ধরনের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ক্ষেত্রে খানিক নরম মনোভাব দেখিয়েছে আলিপুর জেল (Alipore Jail) কর্তৃপক্ষ। কারা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সেলে কোনও খাট বা চেয়ার নেই। শুক্রবার রাতে অন্যান্য বন্দিদের মতো পার্থকে দু'টি কম্বল দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে একটি তিনি গদি হিসাবে এবং অন্যটি বালিশ হিসাবে ব্যবহার করেছেন। তবে ঘরটিতে সিলিং ফ্যান লাগানো আছে।
কলকাতা, ৬ অগাস্ট: শুক্রবার রাত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Jail) ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলটি পশ্চিমবঙ্গের এক সময়ের হেভিওয়েট মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভার্চুয়াল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) আবাসস্থল হয়ে উঠেছে৷ তবে প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে কোনও ধরনের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ক্ষেত্রে খানিক নরম মনোভাব দেখিয়েছে আলিপুর জেল (Alipore Jail) কর্তৃপক্ষ। কারা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সেলে কোনও খাট বা চেয়ার নেই। শুক্রবার রাতে অন্যান্য বন্দিদের মতো পার্থকে দু'টি কম্বল দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে একটি তিনি গদি হিসাবে এবং অন্যটি বালিশ হিসাবে ব্যবহার করেছেন। তবে ঘরটিতে সিলিং ফ্যান লাগানো আছে।
বিপরীতে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আলিপুর জেলে একটু সামান্য বড় ঘর ও আলাদা গদি দেওয়া হয়েছে। কারা বিভাগের এক কর্তা বলেছেন, "এই ঘরটি মূলত আমাদের মহিলা বন্দিদের বৃত্তিমূলক কোর্স করানোর জন্য ব্যবহৃত হত। পাবলিক মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের বিশেষ আদালত থেকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে অর্পিতার নিরাপত্তা এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধার দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া হয়। তাঁর উপর ২৪ ঘন্টা কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছ।" আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: পার্থ-অর্পিতার ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফরেনসিক অডিট করাবে ইডি
শুক্রবার রাতে পার্থকে রুটি-সবজি দেওয়া হয়েছিল, যা তিনি খেয়েছিলেন। শনিবার সকালে তাঁকে অন্যান্য বন্দিদের মতো চা ও রুটি দেওয়া হয়, সেটাও তিনি খান। দুপুরের খাবারে তিনি ভাত, মসুর ডাল, সবজি খেয়েছেন। অন্যদিকে, অর্পিতা শুক্রবার রাতে ডিনার করতে অস্বীকার করলেও শনিবার সকালে ও দুপুরে খাবার খেয়েছেন। পার্থ ও অর্পিতা দু'জনেই নিজ নিজ ওয়ার্ডে বন্দিদের জন্য বরাদ্দ করা সাধারণ টয়লেট ব্যবহার করছেন। জেলে আসার পর থেকে দু'জনেই সম্পূর্ণ নীরব রয়েছেন।