Baisakhi Banerjee Divorce: শোভনকে সঙ্গে নিয়েই মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ বৈশাখী-র, নতুন জীবন শুরু নিয়ে জল্পনা
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়-মনোজিৎ মণ্ডলের বিবাহ বিচ্ছেদে সরকারী সিলমোহর পড়ল। আলিপুর জাজেস কোর্টে বৈশাখী-মনোজিৎয়ের সম্মতিক্রমে বিবাহবিচ্ছেদের রায় শোনালেন বিচারক।
কলকাতা, ৬ এপ্রিল: কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ((Baisakhi Banerjee) -মনোজিৎ মণ্ডলের (Manojit Mandal) বিবাহ বিচ্ছেদে সরকারী সিলমোহর পড়ল। আলিপুর জাজেস কোর্টে বৈশাখী-মনোজিৎয়ের সম্মতিক্রমে বিবাহবিচ্ছেদের রায় শোনালেন বিচারক। আজ, বুধবার বিকেল পাঁচটায় তাঁরা ডিভোর্সের কাগজ নিয়ে হাতে পেয়ে যাবেন। আগাগগোড়া বৈশাখীর পাশে ছিলেন তাঁর বিশেষ বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিনও শোভন-বৈশাখী রঙ মিলিয়ে সবুজ রঙের পোশাক পরে আদালতে যান। বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার পর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতের নির্দেশে তাঁদের মেয়ের জন্য মনোজিৎকে মাসিক টাকা দিতে হবে। তবে সেটাও নিতে তিনি চাননি।
শোভন-বৈশাখী বন্ধুত্বের মাঝে বৈশাখী-মনোজিৎয়ের সম্পর্কটা আড়ালেই ছিল। সেটা প্রকাশ্যে আসার ক মাস পর থেকেই বৈশাখী-মনোজিৎয়ের সম্পর্কটা খারাপ হতে শুরু করে। মনোজিৎ প্রকাশ্যেই তাঁর স্ত্রী বৈশাখী-র বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন। বৈশাখীও পাল্টা মুখ খুলেছিলেন। তারপর...থাক বাকিটা তো রুটিনমাফিক খবর। বিচ্ছেদের মামলা, তারপর বিচ্ছেদে সিলমোহর। এর মাঝে অবশ্য শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কটা আরও গাঢ় হয়েছে। দুজনে এখন একসঙ্গে গান গেয়ে, নেচে নিজেদের সম্পর্কটা আরও মজবুত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোল, তামাসা, কুতসাকে থোড়াই কেয়ার করে শোভন-বৈশাখী দুজনে আছেন নিজেদের মত। আরও পড়ুন: মনমোহন সিংকে নিয়ে ভুলের দড়ি টানাটানিতে কুণাল বনাম পার্থ, তৃণমূলের অন্দরে 'কোন্দল'
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়ে, পদ্মশিবিরে অপমানিত হয়ে দুজনে রাজনীতি ছেড়ে এখন ঘর বসা। মাঝে পুরভোট এল, গেল। শহরের প্রাক্তন মেয়র তিনি, দু দুবার দাপটের সঙ্গে মেয়র হিসেবে বলার মত কাজ করেছেন। কিন্তু সেসব ছেড়ে ভোটের বাজারেও বৈশাখীকে নিয়ে ঘুরেই দিন কাটিয়েছিলেন শোভন। ক দিন আগেই শোভন-বৈশাখীর কাশ্মীর ভ্রমণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসে। সে যাই হোক, বৈশাখীর জীবনে নতুন কিছুর খবর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক দিন জোর জল্পনা চলবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। যতই হোক বিচ্ছেদ নিয়ে মানুষ কথা বলতে ভালবাসে না। সেটা ফেসবুকে শোভন-বৈশাখীর সংক্রান্ত পোস্ট করলেই বোঝা যায়।