Sovan Chatterjee: পুরভোটে বিজেপির হয়ে 'মেয়র' পদে শোভন চ্যাটার্জি! নাগরিক চাহিদা
বিজেপির প্রতীক (BJP Logo) ব্যবহার করেই ব্যানার ছাপানো হয়েছে। প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জির (Mayor Shovon Chatterjee) ছবি সম্বলিত সেই সব ব্যানারে রাতারাতি ছেয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতা (South Kolkata)। পুরভোটে বিজেপির হয়ে 'মেয়র' পদে ময়দানে নামছেন শোভন চ্যাটার্জি।
কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি: বিজেপির প্রতীক (BJP Logo) ব্যবহার করেই ব্যানার ছাপানো হয়েছে। প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জির (Mayor Shovon Chatterjee) ছবি সম্বলিত সেই সব ব্যানারে রাতারাতি ছেয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতা (South Kolkata)। পুরভোটে বিজেপির হয়ে 'মেয়র' পদে ময়দানে নামছেন শোভন চ্যাটার্জি।
দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা ছেয়ে গিয়েছে শোভন চ্যাটার্জির ছবি দেওয়া ব্যানারে। টালিগঞ্জ থেকে এক্সাইড মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের রেলিংয়ে ঝুলছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রীর বিরাট ছবি-সহ ব্যানার। সঙ্গে পদ্মফুলের প্রতীক। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, গড়িয়াহাট থেকে গোলপার্ক (Golpark) হয়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউ পর্যন্ত একই ছবি। সংখ্যাটা সব মিলিয়ে শ’দেড়েক। সেই সব ব্যানারে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘‘কলকাতার বেহাল দশাকে পুনরায় স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে আপনি এগিয়ে আসুন শোভনদা।’’ কোনওটিতে আবার বলা হয়েছে, ‘‘অসম্পূর্ণ কলকাতার পৌরসভাকে পুনরায় স্বমহিমায় আনতে ফিরে আসুন শোভনদা।’’ ব্যানারের নীচে লেখা হয়েছে কলকাতার নাগরিকবৃন্দ। বিজেপির প্রতীক সম্বলিত কোনও ব্যানার যে সাধারণ নাগরিকদের ছাপানো নয়, এর নেপথ্যে যে বিজেপি কর্মীরাই রয়েছেন, তা নিয়ে সংশয় কমই। শোভনের কার্যকালে তিনি কলকাতার চেহারাকে যে জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন, বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সময়ে তার অবনতি হয়েছে বলে বিজেপির একাংশের অভিযোগ। ‘‘বেহাল কলকাতাকে স্বমহিমায় ফেরান’’— এই ব্যানারের মাধ্যমে সেই অভিযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক শিবিরের পর্যবেক্ষণ, এতে শোভন বা বিজেপির প্রচার যেমন করা হয়েছে, একই সঙ্গে তৃণমূলকেও অস্বস্তিতে ফেলা হয়েছে। ওই শিবিরের মতে, শোভনকে সরিয়ে যাঁকে মেয়র করা হয়েছে, তিনি ব্যর্থ— পুরভোটের আগে এই বার্তা চারিয়ে ফিরহাদের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দিতে চেয়েছে বিজেপি। শোভনকে ফেরানোর যে মৃদু চেষ্টা, তৃণমূলের তরফে এখনও কেউ কেউ চালাচ্ছেন, নিদেন পক্ষে শোভনকে নিষ্ক্রিয় রাখার যে আগ্রহ শাসক দলের রয়েছে, বিজেপির এই ব্যানার তাতে জল ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের। আরও পড়ুন: Chaos At Shyamnagar Mill: শ্যামনগরের জুটমিল বন্ধের নোটিস! কর্মহীন ৩ হাজার শ্রমিক
এ বিষয়ে শোভনবাবুর বক্তব্য অবশ্য মেলেনি এখনও। বিজেপিতে যোগ দিলেও তাঁকে সেভাবে সক্রয় ভাবে দেখা যায়নি কোনও বিজেপির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। কয়েকটি ঘটনায় শোভনবাবুর সঙ্গে বিজেপির বচসা তীব্র হয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো বটেই, রাজ্য নেতৃত্বও শোভনের মানভঞ্জনে সক্রিয় হয়। গত কয়েক বছরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের শরিক যিনি, সেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Baisakhi Banerjee) সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, বিজেপি নেতৃত্বের ব্যবহার যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু, তার পরেও শোভনকে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি।