Kolkata: বৃদ্ধিতে দেশের চেয়ে এগিয়ে রাজ্য, মিথ্যা প্রচারের জন্য ক্ষমা চান নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ: অমিত মিত্র
শিল্প প্রবৃদ্ধির বিভিন্ন প্যারামিটারে জাতীয় বৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেক এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। আজ এই দাবি করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Finance Minister Amit Mitra)। তিনি এও বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Home Minister Amit Shah) রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানোর জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মিত্র পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে দেখিয়েছেন যে রাজ্যে জিডিপি, শিল্প, পরিষেবা ও কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধি জাতীয় হারের চেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর: শিল্প প্রবৃদ্ধির বিভিন্ন প্যারামিটারে জাতীয় বৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেক এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। আজ এই দাবি করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Finance Minister Amit Mitra)। তিনি এও বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Home Minister Amit Shah) রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানোর জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মিত্র পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে দেখিয়েছেন যে রাজ্যে জিডিপি, শিল্প, পরিষেবা ও কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধি জাতীয় হারের চেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লজ্জাজনক মিথ্যা প্রচার অভিযান ওদেরই নিজস্ব কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে হাতনাতে ধরা পড়ে গেছে। চার্টে রয়েছে কীভাবে ভারতের বৃদ্ধির হার ওই দু'জনের আমলে নীচে নেমে গেছে এবং মমতাবির অধীনে বৃদ্ধি বাংলায় আরও বেড়েছে জিডিপি, শিল্প, পরিষেবা, কৃষিতে। সুতরাং, বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।" আরও পড়ুন: International Kolkata Book Fair 2021: মহামারীর কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা
চলতি বছরের ৩১ অগাস্টে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছিল যে দেশের জিডিপি ছিল ৪.১৮ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি ছিল ৭.২৬ শতাংশ। শিল্প ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে বৃদ্ধির হার যেখানে ০.৯২ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে এই একই ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৫.৭৯ শতাংশ। নথি অনুযায়ী পরিষেবা ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে বৃদ্ধির হার যেখানে ৫.৫৫ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে সেই বৃদ্ধির হার ৯.২৬ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, কৃষিক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার যখন ৪.০৫ শতাংশ, তখন রাজ্যের বিচারে সেই বৃদ্ধির হার ৪.৭৪ শতাংশ।