Cyclone Yaas Update: শক্তি খুইয়ে গভীর নিম্নচাপ য়াস এখন ঝাড়খণ্ড অভিমুখী, বাংলা ভাসছে বৃষ্টিতে
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার পর ওড়িশার মাটিতে জন্ম নেয় ঘূর্ণিঝড় য়াস (Cyclone Yaas)৷ সেখানেই শক্তি ক্ষয় করে এখন ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে গেছে৷ তবে বুধবারের দাপট আর বৃহস্পতিবারের সকালে বেঁচে নেই৷
কলকাতা, ২৭ মে: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার পর ওড়িশার মাটিতে জন্ম নেয় ঘূর্ণিঝড় য়াস (Cyclone Yaas)৷ সেখানেই শক্তি ক্ষয় করে এখন ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে গেছে৷ তবে বুধবারের দাপট আর বৃহস্পতিবারের সকালে বেঁচে নেই৷ এখন সে পুরোদস্তুর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে৷ শুধু ঝাড়খণ্ড নয়, পশ্চিমবঙ্গে আজ দিনভর য়াসের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে৷ বলা বাহুল্য বুধার রাত থেকেই শুরু হয়ে গেছে অতি ভারী বৃষ্টিপাত৷ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও আজ হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ বেলা আড়াইটে নাগাদ গঙ্গার জলস্তর প্রায় ১৮ ফুট হবে৷ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সমস্ত লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ বিকেল চারটের পর লকগেট খুললে জমা জল নেমে যাবে৷ আরও পড়ুন-Cyclone Yaas: য়াসের দাপট, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দিঘা, হিঙ্গলগঞ্জে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘূর্ণিঝড় য়াসের দাপটে তছনছ বাংলা ও ওড়িশার উপকূলীয় এলাকা। গতকাল সকাল ৯ টা নাগাদ বালাসোরের দক্ষিণে আছড়ে পড়ে য়াস। রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ভেঙে গেছে একাধিক নদীবাঁধ। জল ঢুকে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। বুধবারের রাত কাটতেই অনেকের মনে হয়েছে বিপর্যয় য়াস বোধহয় আর ক্ষতি করতে পারবে না৷ কিন্তু আজ ভরা কোটাল৷ এর প্রভাবে গঙ্গার জলস্তর বাড়বে৷ ভেসে যেতে পারে আদিগঙ্গা লাগায়ো নিচু এলাকা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছেন৷ তবে য়াস বিদায় নিতেই তারা ঘরে ফেরার জন্য তৎপর৷
ভরা কোটাল সম্পর্কে সাবধান করে মমতা বলেন, “যাঁরা গঙ্গার ধারে বাস করেন, কোটালের সময় গঙ্গার জলে ওই সব এলাকার রাস্তাঘাট সবই প্লাবিত হয়ে যায়। আমি জানি। কারণ, আমার বাড়ি তো গঙ্গার ধারে। আমি ওখানেই মানুষ হয়েছি। দুর্যোগগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে যাঁরা রিলিফ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন, দয়া করে তাঁরা সেগুলিতে আরও দু'-একটা দিন না হয় কষ্ট করেই থাকুন। এখনই বাড়ি ফিরবেন না। আপনারা আমার কথা শুনেছেন বলে ঘূর্ণিঝড়ে তেমন কোনও বড় বিপদ হয়নি।”