Ekbalpore Shocker: জামাইকে বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত মা ও মেয়ে
রবিবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুরের ৩৭/২ডি একবালপুর লেনে। মৃতদের নাম মুহাতা বেগম ও খায়রুলন্নেসা। অন্যদিকে এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় একবালপুর নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন জামাই ইজহার আখতার।
কলকাতা: কথায় আছে, রাখে হরি তো মারে কে, মারে হরি তো রাখে কে! লোকসুখে প্রচলিত এই প্রবাদটি সত্যি হয়ে দেখা দিল কলকাতার (Kolkata) একবালপুরের (Ekbalpore) বাসিন্দা ইজহার আখতারের পরিবারে। জামাইয়ের (Son-in-law) জীবন বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট (electrocuted) হয়ে মৃত্যু (death) হল মা ও মেয়ের (mother-daughter)। রবিবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুরের ৩৭/২ডি একবালপুর লেনে। মৃতদের নাম মুহাতা বেগম ও খায়রুলন্নেসা। অন্যদিকে এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় একবালপুর নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন জামাই ইজহার আখতার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন চালান ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের (Calcutta Electric Supply Corporation Limited) আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খায়রুলন্নেসার সঙ্গে বিয়ের পর থেকে একবালপুরের ওই এলাকায় অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন ইজহার আহমেদ। রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ির দেওয়াল থেকে ঝুলতে থাকা একটি লোহার তারে নিজের ভেজা জামাকাপড় শুকোতে দিচ্ছিলেন তিনি। তখনই আচমকা কারেন্ট খান। বিষয়টি দেখতে পেয়ে জামাইকে বাঁচানোর জন্য ছুটে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ৬৪ বছরের বৃদ্ধা মুহাতা বেগম। মা ও স্বামীকে কারেন্ট খেতে দেখে দৌড়ে আসেন খায়রুলন্নেসা। আর তারে হাত দিতে তিনিও বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হন।
ওই তিন জনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। মা ও মেয়েকে পাঠানো হয় এসএসকেএম এবং জামাইকে পাঠানো হয় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে খায়রুলন্নেসা ও মুহাতা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে একবালপুর এলাকায়। আরও পড়ুন: CM Mamata's Big Tension: ক্রমেই বাড়ছে কুড়মি আন্দোলনের তেজ, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ভীত মুখ্যমন্ত্রী