Subrata Mukherjee Dies: রবীন্দ্রসদনে শায়িত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নশ্বর দেহ, শেষযাত্রায় থাকবেন না মমতা
এখন সুব্রতবাবুর মরদেহ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সতীর্থরা। বিরোধী রাজনীতিকরা, ও বিশিষ্টজনেরা। এখান থেকে মরদেহ যাবে বিধানসভায়, তারপর বালিগঞ্জে তাঁর বাড়িতে কিছুক্ষণের জন্য শায়িত রাখা হবে মরদেহ।
কলকাতা, ৫ নভেম্বর: কালীপুজোর রাতে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বর্ণময় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গতকাল দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আচমকাই খারাপ হতে শুরু করে। রাত নটা বেজে ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একডালিয়া এভারগ্রিন দুর্গাপুজোর সভাপতি। এখন সুব্রতবাবুর মরদেহ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সতীর্থরা। বিরোধী রাজনীতিকরা, ও বিশিষ্টজনেরা। এখান থেকে মরদেহ যাবে বিধানসভায়, তারপর বালিগঞ্জে তাঁর বাড়িতে কিছুক্ষণের জন্য শায়িত রাখা হবে মরদেহ। তারপর একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে মরদেহ ঘুরে কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশে যাত্রা করবে। আরও পড়ুন- Mamata Banerjee Over Subrata Mukherjee: প্রোগ্রাম দে, আমিও গোয়ায় যাব;' মমতাকে বলেছিলেন সুব্রত
এদিন সুব্রতবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদনে আসেন রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষস্থানীয় নেতা দিলীপ ঘোষ, নিশীথ প্রামাণিক, রাহুল সিনহা,, জিতেন্দ্র তিওয়ারি-সহ একাধিক নেতা। প্রবীণ রাজনীতিকের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা শোকবার্তায় লিখেছেন, "আমরা খুব ভাল এবং যোগ্য এক জন নেতাকে হারালাম। ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল।"
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর প্রয়াণে সমস্ত সরকারি দপ্তরে শুক্রবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। সুব্রতবাবুর শেষ যাত্রায় থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে তাঁর সাহচর্য পেয়ে এসেছেন। দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কখনও মন্ত্রী হিসেবে ভাবেননি। সেই দাদার চলে যাওয়া তিনি দেখতে পারবেন না। সুব্রতর প্রয়াণে একেবারে শোকস্তব্ধ বোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন, ‘‘আমি সুব্রতদার মরদেহ দেখতে পারব না।’’ ইতিমধ্যেই বালিগঞ্জের বাড়িতে উপচে পড়েছে ভিড়। আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, বোনেরা। মুখোপাধ্যায় বাড়িতে কান্নার রোল উঠেছে। একবার সুব্রতবাবুকে শেষ দেখা দেখতে চান সকলে।