Cyclone Amphan: 'রেশন ও ক্রাণ নিয়ে যেন কোনও সমস্যা না হয়', আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান (Cyclone Amphan) পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ভালো কাজ করেছে। আধিকারিকদের প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। আজ কাকদ্বীপে (Kakdwip) মহকুমা শাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে অতিরিক্ত খরচ যেন না হয়। সতর্ক করলেন মমতা। এছাড়া তিনি জানিয়ে দেন, রেশন ও ক্রাণ নিয়ে যেন কোনও সমস্যা না হয়।

কাকদ্বীপে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর (Photo: Facebook)

কাকদ্বীপ, ২৩ মে: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান (Cyclone Amphan) পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ভালো কাজ করেছে। আধিকারিকদের প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। আজ কাকদ্বীপে (Kakdwip) মহকুমা শাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে অতিরিক্ত খরচ যেন না হয়। সতর্ক করলেন মমতা। এছাড়া তিনি জানিয়ে দেন, রেশন ও ক্রাণ নিয়ে যেন কোনও সমস্যা না হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জেলায় মোট প্রায় ১০ লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। বর্ষার আগে রাস্তার মেরামতি করতে হবে। বর্ষা-জনিত রোগের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে অ্যান্টি ভেনম, ORS পর্যাপ্ত রাখতে হবে। ধ্বংসস্তূপ সরাতে আরও বেশি লোক লাগিয়ে কাজ করাতে হবে। ১০০ দিনের কাজে স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে। এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আয়লাও দেখেছি, কিন্তু এমন বিপর্যয় কখনও দেখিনি। বিদ্যুৎ ফিরিয়ে দেওয়া এখন বড় দায়িত্ব। দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরিয়ে দিতে হবে। জেলায় ৪১ হাজারের বেশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নদীবাঁধ ভেঙেছে ৫৬ কিলোমিটার। রাজ্যে ৬ কোটি, জেলায় ৭৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় বিপর্যয়। এই বিপুল ক্ষতির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে।" আরও প়ডুন: Kolkata: বিদ্যুৎ নেই, জল নেই; রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ-রাস্তা অবরোধ

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যেখানে পানীয় জলের ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, সেখানে পাউচের ব্যবস্থা করতেহবে। মানুষ পানীয় জল পাচ্ছে না, এটা যেন শুনতে না হয়। ম্যানগ্রোভ এবং বৃক্ষরোপণের দায়িত্ব বন দপ্তরেকে নিতে হবে। জেলায় প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। মৎস্যজীবীদের সবরকম সাহায্য করতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাজে লাগাতে হবে। কেউ যেন রেশন থেকে বঞ্চিত না হয়। আরও বেশি করে কমিউনিটি কিচেন চালাতে হবে। খাদ্য দফতরকে সঠিক ভাবে রেশন বণ্টন করতে হবে। অর্থের অপচয় করা যাবে না।"