Lockdown In West Bengal: জানুন রাজ্যের কোন জেলার কোথায় কোথায় লকডাউন, জেনে নিন কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে?

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যে লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত। কলকাতা (Kolkata) পৌরনিগমের এলাকাসহ আগামীকাল বিকেল ৪টে থেকে রাজ্যের মোট ২৩টি জেলার বিভিন্ন এলাকা থাকবে লকডাউন। যদিও পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে (৭৫টি জেলা)-কে আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রের সেই পরামর্শ মেনে আগামীকাল বিকেল ৪টে থেকে ২৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যদিও জরুরি পরিষেবাকে এর আওতায় রাখা হয়নি।

শুনশান শহর কলকাতা (Picture Credits: ANI)

কলকাতা, ২২ মার্চ: করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যে লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত। কলকাতা (Kolkata) পৌরনিগমের এলাকাসহ আগামীকাল বিকেল ৪টে থেকে রাজ্যের মোট ২৩টি জেলার বিভিন্ন এলাকা থাকবে লকডাউন। যদিও পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে (৭৫টি জেলা)-কে আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রের সেই পরামর্শ মেনে আগামীকাল বিকেল ৪টে থেকে ২৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যদিও জরুরি পরিষেবাকে এর আওতায় রাখা হয়নি।

লকডাউন পরিস্থিতিতে শহরের ছবিটা ঠিক কী রকম হবে? কোন কোন জেলার কোনও এলাকা থাকছে লকডাউন, কোন পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। কী কী বন্ধ থাকবে। আরও পড়ুন: West Bengal Lockdown: ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন রাজ্যে

লকডাউন:

রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লকডাউন থাকলেও সমস্ত জরুরি পরিষেবা পাবে আমজনতা। দৈনন্দিন জীবনে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের প্রয়োজন হয়, সেই সব পরিষেবাই খোলা রাখা হবে। খাদ্যসামগ্রীর জন্য খোলা রাখা হবে মুদির দোকান ও রেশন দোকান। অত্যাবশ্যক পরিষেবা যেমন পানীয় জল, ওষুধের দোকান, দুধ ইত্যাদি খোলা থাকবে। খোলা থাকবে, সবজি, মাছ ও ফলের বাজার। এছাড়া দমকল, পেট্রল পাম্প, শ্মশান, কবরস্থান, হাসপাতাল, মুদির ই-কমার্স, খাবার জিনিস, হোম ডেলিভারি, প্যাথলজি ল্যাব, ব্যাঙ্ক, এটিএম খোলা থাকবে। থানা, আদালত ও সংশোধনাগারর পরিষেবা পাওয়া যাবে। পরিষেবা পাওয়া যাব টেলিকম, ইন্টারনেট, আইটি ও ডাক বিভাগে। লকডাউনের আওতায় পড়বেন না সাফাইকর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে: ট্যাক্সি, অটোরিকশাসহ সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাস স্ট্যান্ড থেকে যাওয়া-আসা, মালবাহী যান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বহনের জন্য গাড়ি চলাচলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

সব দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, অফিস, কারখানা, কর্মশালা, গোডাউন বন্ধ থাকবে। বিদেশ থেকে ফেরা সবাইকে স্থানী. স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মতো কঠোরভাবে কোয়ারানটিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল ডিসট্যানসিং মেনে চলুন সবাই। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হবেন না।