Sovan Chatterjee & Baishakhi Banerjee meets CBI: সারদা তদন্তের জেরায় সিজিও কমপ্লেক্সে শোভন-বৈশাখী

বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee)সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) গেলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন আগেই সারদাকাণ্ডের(Sardha Scam) তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই শোভনবাবুকে তলব করেছিল। সেই ডাকেই সারা দিয়ে আজ এই জুড়ি সেখানে গিয়েছে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর নারদা কেসের জন্য ভয়েস স্যাম্পল দিতে সিবিআইয়ের তলবে হাজিরা দিতে নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন শোভন। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর এই দ্বিতীয়বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুঁদে কর্তাদের সামনে গেলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক।

শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়(File Photo)

কলকাতা, ২৪ অক্টোবর: বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee)সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) গেলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন আগেই সারদাকাণ্ডের(Sardha Scam) তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই শোভনবাবুকে তলব করেছিল। সেই ডাকেই সারা দিয়ে আজ এই জুড়ি সেখানে গিয়েছে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর নারদা কেসের জন্য ভয়েস স্যাম্পল দিতে সিবিআইয়ের তলবে হাজিরা দিতে নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন শোভন। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর এই দ্বিতীয়বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুঁদে কর্তাদের সামনে গেলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক। সারদা তদন্তে বারবার উঠে এসেছে প্রভাবশালীদের টাকা দেওয়ার কথা। সেই তালিকায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সারদায় সবচেয়ে বেশি আমানতকারী ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার। সেই সময় দলীয় সংগঠনের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) । সিবিআই বারবার আদালতে সারদা তদন্তে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, সে ব্যাপারেই তদন্ত এগোতে জেরা করা হচ্ছে শোভনকে। তাছাড়া এমনিতেই গত কয়েকমাস ধরে সারদা তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যে ব্যবসায়ীদের জেরা করেছিল, তাঁদের মধ্যে থেকেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। সারদার একাধিক কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়েছিল কলকাতা কর্পোরেশন থেকে। সেই সময়ে কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভনবাবু। তদন্ত সিবিআই দেখতে চাইছে, এই সব লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সব নিয়ম মেনে করা হয়েছিল নাকি সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্যই তা দিয়েছিল পুরসভা। আরও পড়ুন- West Bengal Government sends letter to MHA: না জানিয়ে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন সিআরপিএফ, জানতে কেন্দ্রকে চিঠি নবান্নের

যাইহোক বৃহস্পতিবার সকালে গোলাপী রঙা পোশাক পরে শোভন বৈশাখী সিবিআই-এর দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর মাস খানেক যাবৎ এই জুড়িকে নিয়ে পদ্ম শিবিরে কম টানা হ্যাঁচড়া চলেনি। শোভনকে কাছে টেনে নিলেও বৈশাখীকে অনেকেই মানতে পারেননি। মাঝে তো ফের দলত্যাগের সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন দুজনে। মুকুল রায়ের (Mukul Roy) মধ্যস্থতায় সেই গেরো কেটেছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে দলীয় কোনও কর্মসূচিতেই এই জুটিকে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে না।