Kolkata: রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত যুবকের বাবার সদস্যপদ বাতিল করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন
ডাক্তার, দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগে রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত যুবকের বাবার সদস্যপদ খারিজ করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ওই যুবককে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি তা মানেননি। বদলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ না করায় রোষের মুখে পড়েছেন ওই যুবকের চিকিত্সক।
কলকাতা, ২০ মার্চ: দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগে রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত যুবকের বাবার সদস্যপদ খারিজ করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ওই যুবককে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি তা মানেননি। বদলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ না করায় রোষের মুখে পড়েছেন ওই যুবকের চিকিত্সক।
রাজ্য় প্রথম করোনাভাইরস আক্রান্ত ওই যুবক বাড়ি ফেরার পরে দু-দিন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে রোগী দেখেন। তবে তাঁর করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে প্রশাসন। নিজে একজন চিকিত্সক হয়ে এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেওয়ায় ওই ব্যক্তির সদস্যপদ খারিজ করে দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen) বলন, "চিকিৎসক হয়েও যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় উনি দিয়েছেন তাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আরও পড়ুন: Kolkata: করোনাভাইরাস নিয়ে কবিতা লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
রাজ্য়ে এখনও পর্যন্ত দুই যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে আক্রান্ত যুবক রাজ্য প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিকের ছেলে। লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ওই যুবক। ১৫ মার্চ ওই যুবককে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। বাড়ি ও অন্য জায়গায় যান। ১৬ মার্চ তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ডেপুটি সুপার ও অন্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ ফেরান। তাঁর মা নবান্নে গেছিলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগও দিয়েছিলেন, অনেকের সঙ্গে দেখাও করেন। মঙ্গলবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মা, বাবা ও গাড়ির চালককেও রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। মোট সাতটি নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় এসএসকেম ও নাইসেডে। ৫টি নমুনার রিপোর্টের মধ্যে চারটিতেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।