Kolkata: এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ ৯১ জন কোয়ারান্টিনে
এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ ৯১ জন কোয়ারান্টিনে। বন্ধ করে দেওয়া হল হাসপাতাতেল লেবার রুম। ৯১ জনের মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন চিকিৎসক, ৫৪ জন নার্স ও ৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক জেলা হাসপাতালের দু’টি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। মঙ্গলবার ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলার মৃত্যু হয়। এরপরই তড়িঘড়ি ফিমেল মেডিসিন ও সিসিইউ বিভাগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: এনআরএস হাসপাতালের (NRS Hospital) চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ ৯১ জন কোয়ারান্টিনে। বন্ধ করে দেওয়া হল হাসপাতাতেল লেবার রুম। ৯১ জনের মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন চিকিৎসক, ৫৪ জন নার্স ও ৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক জেলা হাসপাতালের দু’টি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। মঙ্গলবার ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলার মৃত্যু হয়। এরপরই তড়িঘড়ি ফিমেল মেডিসিন ও সিসিইউ (CCU) বিভাগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ এনআরএস হাসপাতালে এক প্রসূতির শরীরে মিলল করোনাভাইরাস (Coronavirus)। সোমবার তিনি সন্তান প্রসব করেন। মা-সন্তানকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে (M R Bangur Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এনআরএস হাসপাতাল সূত্রে খবর, লেবার রুম ও গাইনি ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা অন্য রোগীদের। কোন কোন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্মী ওই মহিলার সংস্পর্শ এসেছিলেন, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। আরও পড়ুন: Coronavirus In West Bengal: রাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বেড়ে ১০, আক্রান্ত ১৪৪
কয়েকদিন আগেই কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর এক মহিলার শরীরে মেলে করোনাভাইরাস। তার জেরে বন্ধ রাখতে হয় প্রসূতি বিভাগ। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ বেশ কয়েকজনকে হোম কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়। এবার এনআরএস হাসপাতালেও একই ঘটনা ঘটল।
এদিকে রাজ্যে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়ে ১০। নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৪ জন। এই মুহূর্তে করোনায় চিকিৎসাধীন ১৪৪। সুস্থ হয়েছেন আরও ৯ জন। নবান্নে জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে সাড়ে ৩ লাখ পিপিই দেওয়া হয়েছে। ২ লাখ ২৩ হাজার মাস্ক দিয়েছে রাজ্য সরকার। । এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সংক্রমণ মুক্ত ৫১। রাজ্যে এখনও কোয়রান্টিনে রয়েছেন ৩৮১১ জন।