Jharkhand MLAs Cash Seizure Case: সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার নয়, ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়কের আর্জি খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে

প্রায় ৫০ লাখ টাকা নগদ-সহ ধরা পড়া ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের (Jharkhand MLAs) আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে দেওয়ার জন্য বিধায়করা আর্জি জানিয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের (Justice Moushumi Bhattacharya) সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে রাজ্য পুলিশের সিআইডি (CID) তদন্ত চালিয়ে যাবে। যদিও বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে আবেদনকারীরা চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ বা উচ্চ আদালতে যেতে পারেন।

Calcutta High Court (FILE PHOTO)

কলকাতা, ৪ অগাস্ট: প্রায় ৫০ লাখ টাকা নগদ-সহ ধরা পড়া ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের (Jharkhand MLAs) আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে দেওয়ার জন্য বিধায়করা আর্জি জানিয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের (Justice Moushumi Bhattacharya) সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে রাজ্য পুলিশের সিআইডি (CID) তদন্ত চালিয়ে যাবে। যদিও বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে আবেদনকারীরা চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ বা উচ্চ আদালতে যেতে পারেন।

২০ জুন সন্ধ্যায় হাওড়ার পাঁচলা থেকে ঝাড়খণ্ডের তিনজন কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি, রাজেশ কাছাপ এবং নমন বিক্সাল কোঙ্গারি-সহ ৫ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের গাড়ি থেকে ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তাঁদের কাছ থেকে টাকার ব্যাপারে কোনও সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় পাঁচজনকেই গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। পরে সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব নেয় এবং তিনজন বিধায়ক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির জের, সামাজিকভাবে 'বয়কট' পার্থ চট্টোপাধ্যায়? গুঞ্জন

আজ শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অনির্বাণ রায় যুক্তি দিয়েছিলেন যে কোন সংস্থা তদন্ত করবে সেটা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পছন্দের উপর নির্ভর থাকতে পারে না। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সিবিআই বা অন্য কোনও সংস্থার তদন্ত পছন্দ থাকতে পারে না। রাঁচিতে এই বিষয়ে একটি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে নগদ বাজেয়াপ্তের ঘটনা ঘটেছে, তাই রাঁচিতে এফআইআর গ্রহণযোগ্য নয়।"

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে ধৃত বিধায়করা তদন্ত প্রক্রিয়া স্থানান্তর করতে চান কারণ রাজ্য পুলিশের গ্রেফতার করার অধিকার নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল পুরো ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। পাল্টা যুক্তিতে অনর্বাণ বলেন, যেহেতু নগদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি রাজ্য পুলিশের এখতিয়ারের অধীনে, তাই বিষয়টি তদন্ত করার অধিকারও রয়েছে।

উভয় পক্ষের শুনানির পরে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন যে অনুমানের ভিত্তিতে, তদন্ত প্রক্রিয়া এক সংস্থা থেকে অন্য সংস্থায় স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। তিন বিধায়কের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী যে তাঁরা কলকাতা থেকে শাড়ি কেনার জন্য এত নগদ এনেছিলেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আদালত জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছে না।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now