Jhargram: ৭ ঘণ্টার নাটকের অবসান, পরিবারের আবেদনে সাড়া দিয়ে গুলি চালানো বন্ধ করলেন কনস্টেবল

অবশেষে পরিবারের কথা শুনে ৭ ঘণ্টা পর গুলি চালানো বন্ধ করলেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের(Jhargram Police line) জুনিয়র কনস্টেবল বিনোদ কুমার (Binod Kumar)। নিউজ ১৮ বাংলার খবর অনুযায়ী, ছেলেকে থামাতে ডাক পড়েছিল বাবা-মায়ের। পুরুলিয়া থেকে পুলিশের গাড়িতে এসে পৌঁছন বাবা, স্ত্রী সুকুমারী এবং ছোটো ভাই। তারপরই তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে গুলি চালানো বন্ধ করে দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের কনস্টেবল। দুপুর থেকেই ঘটনাস্থানে ছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর (Amit Kumar Bharat Rathod)। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান বাঁকুড়া রেঞ্জের আইজি আর রাজশেখরন (R Rajasekaran)। তাঁরা বারবার আবেদন করলেও গুলি চালানো বন্ধ করেননি তিনি। কিন্তু বিফলে যায়নি পরিবারের ডাক। তাঁদের এক ডাকেই বন্দুক ছেড়ে নিচে নেমে আসেন বিনোদ কুমার।

কনস্টেবল বিনোদ কুমার (Photo: Facebook)

ঝাড়গ্রাম, ২৪ এপ্রিল: অবশেষে পরিবারের কথা শুনে ৭ ঘণ্টা পর গুলি চালানো বন্ধ করলেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের(Jhargram Police line) জুনিয়র কনস্টেবল বিনোদ কুমার (Binod Kumar)। নিউজ ১৮ বাংলার খবর অনুযায়ী, ছেলেকে থামাতে ডাক পড়েছিল বাবা-মায়ের। পুরুলিয়া থেকে পুলিশের গাড়িতে এসে পৌঁছন বাবা, স্ত্রী সুকুমারী এবং ছোটো ভাই। তারপরই তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে গুলি চালানো বন্ধ করে দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের কনস্টেবল। দুপুর থেকেই ঘটনাস্থানে ছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর (Amit Kumar Bharat Rathod)। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান বাঁকুড়া রেঞ্জের আইজি আর রাজশেখরন (R Rajasekaran)। তাঁরা বারবার আবেদন করলেও গুলি চালানো বন্ধ করেননি তিনি। কিন্তু বিফলে যায়নি পরিবারের ডাক। তাঁদের এক ডাকেই বন্দুক ছেড়ে নিচে নেমে আসেন বিনোদ কুমার।

বৃহস্পতিবার দুপুর পুনে দুটো নাগাদ হঠাৎই ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক কনস্টেবল তাঁর এসএলআর (সেল্ফ লোডিং রাইফেল) নিয়ে ছাদে উঠে যান। সেখান থেকে রাস্তা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। পুলিশলাইনের দোতলায় আর্মারি সেকশনের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। পুলিশ লাইনের একটি বাড়ির ছাদে উঠে ব্যারাক লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন। তবে গুলিতে কেউ আহত হননি। তবে গুলিতে কেউ আহত হননি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রাম থানা থেকে ডিয়ারপার্ক সংলগ্ন নতুন পুলিশলাইনে বদলি হন তিনি। এ দিন বেলা এগারটা থেকে ডিউটি ছিল বিনোদের। সময়মত চলে আসেন তিনি। হঠাৎ বেলা পুনে দু'টো নাগাদ পরপর গুলির শব্দ শুনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ লাইনে। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। দেখা যায় গুলি চলছে দোতলা থেকে। আরও পড়ুন: Constable firing From Jhargram Police Line: ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের ছাদে উঠে শূন্যে অনবরত গুলি চালাচ্ছেন কনস্টেবল!

এরপরেই পদস্থ পুলিশকর্তারা মাইক নিয়েবিনোদকে গুলি চালানো বন্ধ করে নিচে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বিনোদ। পরে পুরুলিয়া থেকে স্ত্রী, বাবা, মা এসে পৌঁছলে তাঁরাও মাইকে বলতে শুরু করেন। কিন্তু তাতেও কান দিতে ছাইছিল না সে। পরে রাত গড়াতে ন'টা নাগাদ পরিবারের ডাকে সাড়া দিয়ে নিচে নেমে আসে। পরিবারের দাবি, মাস খানেকের লক ডাউনে বাড়ি যেতে পারেননি বিনোদ। ফলে মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। হয়ত সেইজন্যই এমন ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন।

এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠোর বলেন, “বিনোদ কুমার নামে একজন জুনিয়র কনস্টেবল আছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে একটু হ্যালুসিনেশন হয়েছিল। তার জন্য ফায়ারিং করেছে। কথাবার্তা বলে ওঁকে নামানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে দেখছি। কেন সে গুলি চালাল, কত রাউন্ড গুলি চলেছে, ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now