Jawad Cyclone Effect: সাইক্লোন জাওয়াদ-এর প্রভাবে বঙ্গে বাড়ছে হাওয়ার গতি, হয়েই চলেছে বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad) প্রভাবে ক্রমশই হাওয়ার গতিবেগ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। রবিবার দুপুর বা বিকেলের দিকে ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘জওয়াদ’-এর।
কলকাতা, ৪ ডিসেম্বর: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad) প্রভাবে ক্রমশই হাওয়ার গতিবেগ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। রবিবার দুপুর বা বিকেলের দিকে ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘জওয়াদ’-এর। কিন্তু তার আগে শনিবার সকাল থেকেই ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে দিঘা (Digha), মন্দারমণি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকাগুলোতে। দিঘায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্রও। এক দিকে ‘জওয়াদ’-এর প্রভাব, অন্য দিকে ভরা কটাল— এই দুইয়ের প্রভাবে পরিস্থিতি যে বিগড়োতে পারে তারই আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই আগেভাগেই দ্রুত খালি করে দেওয়া হচ্ছে দিঘার সমুদ্রতট। চলছে মাইকিং। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা সমুদ্র সৈকতে টহলদারি চালাচ্ছেন।
শুক্রবার থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করার কাজ চলছে। দিঘায় থাকা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বার বার সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে কোনও ভাবেই যেন তাঁরা সমুদ্রের ধারে না যান। তবে যে কোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় এনডিআরএফ তৈরি বলেই জানিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সেকেন্ড ব্যাটালিয়ানের ইনস্পেক্টর এম কলাইরাশন। আরও পড়ুন: স্থলভাগের আগেই আছড়ে পড়বে, শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ হয়ে বঙ্গে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ
অন্যদিকে, বিপর্যস্ত হতে পারে এমন জেলাগুলির গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে ওড়িশা সরকার। এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেসব এলাকার স্থানীয়দেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওড়িশা গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।
ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনটি জেলা থেকে ৫৪,০০৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে। উদ্ধারকারী দল শ্রীকাকুলাম জেলা থেকে ১৫,৭৫৫ জন, বিজয়নগর থেকে ১,৭০০ জন এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৩৬,৫৫৩ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।