WB Assembly Elections 2021: জোট নয়, তেমন হলে তৃণমূলকেই সমর্থন করবে কংগ্রেস; আবু হাশেম খান চৌধুরি
শুধু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করাই নয়, বিজেপির জয়রথকে রুখে দিতেই বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। তবে গত ১০ বছরে রাজ্যে বামেদের সংগঠন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা মালদা মুর্শিদাবাদ জেলাতেই সীমাবদ্ধ। এদিকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট গঠন করে আসরে নেমে পড়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। প্রথমে আসাদ উদ্দিন ওয়েসির অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল আইএসএফ-এর। তবে বামেরা সে পথ বন্ধ করতেই আব্বাসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। মতাদর্শগত বিরোধ থাকা সত্ত্বেও শুধু শাসকদলকে পরাস্ত করে কংগ্রেসও এই জোটকে স্বাগত জানায়।
মালদা, ১৬ মার্চ: শুধু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করাই নয়, বিজেপির জয়রথকে রুখে দিতেই বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। তবে গত ১০ বছরে রাজ্যে বামেদের সংগঠন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা মালদা মুর্শিদাবাদ জেলাতেই সীমাবদ্ধ। এদিকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট গঠন করে আসরে নেমে পড়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। প্রথমে আসাদ উদ্দিন ওয়েসির অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল আইএসএফ-এর। তবে বামেরা সে পথ বন্ধ করতেই আব্বাসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। মতাদর্শগত বিরোধ থাকা সত্ত্বেও শুধু শাসকদলকে পরাস্ত করে কংগ্রেসও এই জোটকে স্বাগত জানায়। এদিকে ভোট যত এগিয়ে আসছে, জোটের জট ততই ঘোঁটে পরিণত হচ্ছে। আরও পড়ুন-COVID-19 Positive Rituparna Sengupta: করোনা আক্রান্ত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে
এবার জোট শরিকের বিরোধিতা করে বসলেন মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাশেম খান চৌধুরি (Abu Hashem Khan Chowdhury) ওরফে ডালু। জোট শরিক আইএসএফ-কে যে তাঁর পছন্দ নয় তা স্পষ্ট করেদিলেন। বললেন, “কংগ্রেস আব্বাস সিদ্দিকির হাত ধরেনি। খারাপ ফলের ভয়ে ওদের হাত ধরেছে বামেরা। আমরা এটা পছন্দ করিনি। তবে ভোট-পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি তেমন দাঁড়ালে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে।” আবু হাশেম খান চৌধুরির মন্তব্যে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রর প্রতিক্রিয়া, রাজ্যস্তরে জোট হয়েছে। এই জোটে বাম-কংগ্রেস, আইএসএফ সবাই রয়েছে। সাংসদ কী বলতে চান সেটা স্পষ্ট নয়। এসব শুনে বিজেপি বলছে, এই জোট-ঘোঁটকে মানুষ মেনে নেবে না। আমাদের রুখতে যে সব দল এক হবে, সেটা আগেই জানা ছিল। এদিকে তিন বিরোধী রাজনৈতিক দলের মতামতের প্রেক্ষিতে তৃণমূল জানিয়েছে, দুশোর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরব। ভোট-পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত কী হবে তা স্থির করবে রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিকে আবু হাসেম খান চৌধুরির মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত নেই। ব্রিগেড সমাবেশের আগে থেকেই আব্বাস সিদ্দিকির দাবি পূরণ করতে গিয়ে হবিমশিম খাচ্ছে বামেরা। সিপি নেতৃত্বের একাংশ এই জোটকে মন থেকে সমর্থন। জেলাস্তরের অনেক বামনেতাই মতাদর্শ বিরোধী এই জোটকে দেখে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসছেন। সবমিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে আগে তিন রাজনৈতিক দলের জোটধর্ম পালনই এখন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)