তৃণমূল সাংসদ নুসরতের বিয়ে নিয়ে মৌলবাদী সংগঠনের আপত্তি, নুসরতের পাশে দাঁড়াল BJP

হিন্দুকে বিয়ে করেছেন নুসরত জাহান। সিঁথিতে সিঁদুর,হাতে চূড়া, মেহেন্দি পরেছেন তিনি।

সংসদে শপথ নুসরত জাহানের। (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ৩০ জুন, ২০১৯:  হিন্দুকে বিয়ে করেছেন নুসরত জাহান। সিঁথিতে সিঁদুর,হাতে চূড়া, মেহেন্দি পরেছেন তিনি। সেটা একেবারেই মেনে নিতে রাজি নয উত্তর প্রদেশের মৌলবাদী সংগঠন। নুসরতের(Nusrat Zahan)  সিঁদুর পরার প্রসঙ্গে মৌলবাদী সংগঠনের সদস্য মুফতি আসাদ ওয়াসমি বলেছেন, ‌‘‌ইসলাম ধর্মে মেয়েদের অমুসলিমদের বিয়ে করার অধিকার নেই। বিয়ের পরে হিন্দু রীতি মেনে নুসরত সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরে ইসলাম ধর্মকে অসম্মান করেছেন।’‌ ওয়াসমির দাবি, ‘‌নুসরত একজন অভিনেত্রী। আর অভিনেত্রীরা ধর্মকে গুরুত্ব দেন না। তাঁরা যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। তাই সংসদে এমন আচরণ দেখা গেছে নুসরতের মধ্যে।’‌

রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও প্রতিপক্ষের পাশে দাঁড়িয়েছেন রায়গঞ্জের বিজেপি (BJP) সাংসদ তথা নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী(Debashree Chowdhury) ও বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রাচী। ফতোয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী৷ তিনি জানান, নিজের ধর্ম উল্লেখ করে, আত্মপরিচয় দেওয়া সাংবিধানিক অধিকার৷ সেই বিষয়ে ফতোয়া জারি করা অন্যায়৷ কেবল রায়গঞ্জের সাংসদই নন, একই ইস্যুতে নুসরতের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রাচীও৷ তাঁর কথায়, “এক মুসলিম মহিলা হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করে টিপ, সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র পরলে, ইসলাম ধর্মগুরুদের কাছে সেটা হারাম। অথচ যখন মুসলিম ছেলেরা আমাদের মেয়েদের জিহাদের নামে তুলে নিয়ে গিয়ে বোরখা (Burqa) পরাতে বাধ্য করে তখন সেটাকে কি হারাম বলা চলে না?” আরও পড়ুন, তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার ১, ২৪ ঘণ্টার বনধ ঘিরে থমথমে চুঁচড়া

অভিনয় জীবনে বেশ কয়েকবার ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন নুসরত। হালে নিখিল জৈনকে বিয়ে করা নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি। এর পরে সিঁদুর বিতর্ক। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে নুসরত লিখেছেন, “আমি সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছি, যা জাতপাত, ধর্মের বেড়াজালের উর্ধ্বে। মুসলিম (Muslim) হলেও আমি সব ধর্মকে সম্মান করি। আমার তো মনে হয় কোন ধর্ম অনুসরণ করব, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। আর আমি কী পোশাক পরব, সেটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে। আমি মনে করি বিশ্বাস, পোশাক বিধির থেকেও অনেক বড়। ”